ওয়েব ডেস্ক: রেশনটাই প্যাশন ভক্তিপদ দাসের। সরকারি রেশন ব্যবস্থার মতনই নিজের মুদি দোকানে ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকেন ফুলবাগানের ভক্তিপদ। তাঁর দোকানে মুদির জিনিসে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দুঃস্থ শিশু এবং বয়স্কদের জন্য। শিশু বয়স্কতো বটেই অন্য যে কেউ বাজারের থেকে অনেক কম দামে চাল-ডাল কিনতে পারেন ভক্তিপদর মাতৃভাণ্ডার থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি উপাধি পাননি বটে। কিন্তু জায়গা করে নিয়েছেন মানুষের মনে। তিনি ভক্তিপদ দাস। মুদি দোকান চালান। মুদি দোকান দিয়েই বিপ্লব করা যায়, দেখিয়ে দিয়েছেন ফুলবাগানের ভক্তিপদ, এলাকায় পরিচিত ভজা দা নামে। মাগ্গিগণ্ডার বাজারে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাজারে কম দামেও মেলে ভাল জিনিস।


এ কী সম্ভব! সংসদে সরকার নাস্তানবুদ হচ্ছে। কমছে না ডালের দাম। বাজারে যে কোনও দোকানে গেলে ১০০ টাকা কিলোর নীচে মিলবে না মুগ-মুসুর। ভাজাদার দোকানে কিন্তু পাওয়া যায় অনেক কমে। যে কোনও জিনিস অন্য যে কোনও দোকানের থেকে মেলে অনেক কম দামে। ভজাদার দোকানে সবার জন্য ডিসকাউন্ট। ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দুঃস্থ শিশু এবং বয়স্কদের জন্য।


কীভাবে এই অসাধ্য কাজ করেন ভক্তিপদ? কী করে বোঝেন কার ন্যায্য মূল্যের থেকেও কম দরে রেশন দরকার? ফ্লেক্স টাঙিয়ে তাঁর কাছে আবেদন করতে বলেছিলেন ভক্তিপদ দাস। ২ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এরপর নিজেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখে এসেছেন, প্রয়োজনটা আসলে কার।


দারিদ্রকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন ভক্তিপদ দাস। এখন তাঁর তিন তিনটে মুদির দোকান। মুদির দোকান করার পরও তাঁর কষ্টের দিনগুলি ভুলতে পারেন না তিনি। তাই প্যাশনেই রেশন। গোটা রাজ্য জুড়ে গড়ে তুলতে চান মাতৃভাণ্ডার, সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।