নিজস্ব প্রতিবেদন: সাফাই অভিযানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! দলে কোনও পচা শামুক রাখতে চান না তিনি। আর কণামাত্র তেমন কেউ থাকলেও তার উপর বজ্রাঘাত করতে যে কোনও কুণ্ঠাবোধ করবেন না তিনি, তাও স্পষ্ট জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধিত কোর কমিটির সভায় তৃণমূল নেত্রী বলেন, “কেউ ভাল কাজ করলে দল তাকে অনুমোদন করবে”। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দেন তৃণমূলের পতাকাকে চাঁদোয়া করে ‘চাঁদা’ তোলা হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। এই প্রসঙ্গেই উলুবেরিয়া পৌরসভার উপ-পুরপ্রধান উপর খড়্গহস্ত হন মমতা। 


আরও জানুন- নেতা-মন্ত্রীদের ধমক! যা যা না করলে তৃণমূল করা যাবে না, জানালেন মমতা


হাজার হাজার তৃণমূল নেতার সামনেই উলুবেরিয়া পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খানকে তৃণমূল সুপ্রিমো ধমক, “তোমার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ আসছে কেন? হাউজিং করতে হলে তোমাকে টাকা দিতে হবে? তুমি এক কাজ করো, পদত্যাগ করে ঘরে বসো”। 



এরপরই শাসন করার ভঙ্গিতে আব্বাসউদ্দিন খানকে সতর্কও করেন দলনেত্রী। তিনি বলেন, “তৃণমূল মানুষের দল। মানুষের সাথে যে যা করবে আমি সব খবর পাব। আমি কিন্তু ছাড়ব না। নিজেদের উপর বজ্রাঘাত হানবেন না’।  


আরও পড়ুন- ‘দলের মালিক প্রয়োজন মনে করেনি, তাই হঠিয়ে দিয়েছে’


উল্লেখ্য এদিন মমতার রোষানলে পরে পদ খুইয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই নেতা। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ থাকার জন্য বকুনি খেয়েছেন আরও অনেক জেলা স্তরের নেতাও। যা দেখে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই বলছেন,  ২০১৯-এ অলআউট নামছে তৃণমূল, তার আগে একেবারে ইস্পাতের মতো সংগঠন তৈরি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা করতেই  পচা শামুক সাফাই শুরু করেছেন তৃণমূল।