নিজস্ব প্রতিবেদন:   কলকাতার একজন নামী ইউরোলোজিস্ট তিনি। বছর পঁচাত্তরের  মোহনচাঁদ শীল তাঁর দীর্ঘ পেশাজীবনে  বহু রোগী দেখেছেন।  বেশিরভাগই মুখ মনে নেই তাঁর। কিন্তু তাঁকে মনে রয়েছে অনেকেরই। তাই রাস্তাঘাটে তিনি চিনতে না পারলেও ডাক্তারবাবুকে মনে রেখেছেন অনেকেই। দেখা হলেই, অনেকে ডেকে কথা বলেন, সৌজন্য বিনিময় করেন। দিন কয়েক আগে সেরকমই এক মহিলা এসে কথা বলেছিলেন ডাক্তারবাবুর সঙ্গে। কথা শেষে করমর্দনও করেছিলেন। কিন্তু তারপরই যা ঘটল, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি ডাক্তারবাবু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে, থানার ভিতরেই ভয়ঙ্কর ঘটনা


ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে। সেদিন রাত আটটা নাগাদ এন্টালির ননীগোপাল রায় চৌধুরী সরণির বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেলুনে যাচ্ছিলেন মোহনচাঁদবাবু। বাড়ি থেকে সেলুনের দূরত্ব হাঁটা পথে মিনিট দশেক। পথে এক মহিলা তাঁর নাম ধরে ডাকেন। মোহনচাঁদবাবু তাঁকে সঠিকভাবে চিনতে না পারলেন, মহিলার কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছিল, তিনিও তাঁরই কোনও ‘পেসেন্ট’ ছিলেন।


হাঁটতে হাঁটতেই কথা চলতে থাকে দুজনের। সেলুন চলে আসার একটু আগেই মহিলা তাঁকে বিদায় জানিয়ে চলে যান। যাওয়ার আগে সৌজন্য বিনিময়ে ডাক্তারবাবুর সঙ্গে করমর্দনও করেন তিনি। মোহনচাঁদবাবু তখন কিছু একটা অনুভব করেছিলেন বটে, কিন্তু ততটাও গুরুত্ব দেননি।


আরও পড়ুন- হিন্দু জামাইয়ের ঔরসের সন্তান মেয়ের গর্ভে! ফোন করে ডেকে গর্ভপাত করাল বাপেরবাড়ি


মহিলা চলে যাওয়ার পর চুল কাটিয়ে বাড়ি ফেরার পরই বিষয়টি খেয়াল করেন তিনি। ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। ডান হাতের অনামিকায় থাকা বড়সড় হিরের আংটি গায়েব। বিষয়টি বুঝতে দেরি হয়নি ডাক্তারবাবুর। রাস্তায় বেরিয়ে সেদিন কিছুক্ষণ খোঁজাখুজিও করেছিলেন। কিন্তু পাখি তো ফুরুত্!


আরও পড়ুন:  পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!


এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মোহনচাঁদ শীল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শহরের এই ঘটনা কেপমারি ঘরানার নতুন সংযোজন।  চিকিত্সকের কথায়, মহিলা সম্ভ্রান্ত চেহারা, পরনের পোশাকও বেশ ঝাঁ চকচকে। ইংরাজি, বাংলা মিশিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলচ্ছিলেন ওই মহিলা। কথা বলার ধরনও অত্যন্ত মার্জিত। চিকিত্সকের বর্ণনার ভিত্তিতে ওই মহিলার স্কেচ তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা।  পুলিসের খাতায় নাম রয়েছে, এমন কেপমারদের ছবিও দেখানো হয়েছে ডাক্তারবাবুকে।  ঘটনায় শঙ্কিত তো অবশ্যই, হতবাকও বটে! আর  কি কারোর সঙ্গে করমর্দন করবেন তিনি?