নিজস্ব প্রতিবেদন: দল বিরোধী মন্তব্যের জন্য শোকজ করা হয়েছে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে। এনিয়ে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। বুথ স্তর থেকে রাজনীতি করেছি। কারও দয়ায় নেতা হইনি। শোকজ নিয়ে জি ২৪ ঘণ্টা-য় মুখ খুললেন রীতেশ তিওয়ারি।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শোকজ করা নিয়ে রীতেশ তিওয়ারি বলেন, হ্যাঁ, দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু কোথায়, কী, কোথায় কার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছি তা বুঝতে পারছি না।  তার কোনও উল্লেখও নেই চিঠিতে। অনেকে আমার কাছ থেকে চিঠির কপি চেয়েছেন। কাউকে তা দিইনি। পার্টিতে এই মুহূর্তে যারা দায়িত্বে রয়েছেন সেইসব তত্কাল নেতারা আমাকে চিঠি পাঠানোর আগে তা সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাদের উচিত ছিল আমার দোষ দেখিয়ে দেওয়া। তাহলে আমার উত্তরটা দিতে পারতাম।


দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রীতেশ(Ritesh Tiwari) বলেন, ওই চিঠির উদ্দেশ্য শোকজ নয়, আমার ভাবমূর্তিতে কালি ছেটানোই। সংবাদমধ্যমের মাধ্যমেই সেসব করা হয়েছে। আর সংবাদমাধ্যমেই আমি দলের দলের সভাপতিকে বলব, যারা এই চিঠি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করল তাদের বিরুদ্ধে কেন শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে না। যারা দল চালাচ্ছে তারা আগেই ষড়যন্ত্র করে নতুন কমিটি থেকে আমাকে সরিয়েছে। তার পরেও নতুনদের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তারপরও এই কাদা ছোড়া! গোটা কাশীপুর এলাকায় রীতেশ তিওয়ারির পরিচিতির প্রয়োজন হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্শীর্বাদ নিয়ে আমার স্ত্রীর চাকরি হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে আমার বউ ট্রান্সফার হয়নি। বাম, তৃণমূলের বহু নেতার সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। তাদের কাছ কখনও কোনও সুবিধে নিয়েছি কেউ যদি দেখাতে পারে তাহলে আজই পার্টি(BJP) ছেড়ে দেব। আমি কলেজে ছাত্রপরিষদ কিংবা এসএফআই করিনি। সিটু করিনি। ১৮ বছর বয়স থেকে বুথে এজেন্টের কাজ দিয়ে পার্টির কাজ শুরু করেছিলাম। এক শতাংশ থেকে দলের ৪০ শতাংশ ভোটের সাক্ষী। তাই তত্কালদের কাছ থেকে আমাকে পার্টির প্রতি দায়বদ্ধতা শিখতে হবে না।  তত্কাল বিজেপির লোকজন পার্টির নিয়মশৃঙ্খলা জানে না। ওদের উচিত আমাদের কাছে এসে শেখা কীভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনতে হয়।


আরও পড়ুন-'আমার সঙ্গে সব বিক্ষুব্ধরা বৈঠক করবে,ওরা কি সবাইকে বাদ দিয়ে দেবে?',শোকজ নিয়ে সরব শান্তনু


দলের কিছু নেতা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ব্যক্তিগত ইমেজে কালি লেপনের চেষ্টা করছে। পার্টিতে ছিলাম, পার্টিতে আছি। বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য নেই। কেন্দ্র বা রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। যারা এসব করেছে তাদের আপানারা জানেন। খবরটা পাওয়ার পর খুবই লজ্জা হয়েছে। অপমানিত বোধ করেছি। বিধানসভার ফল প্রকাশের পর ১ লাখ মানুষকে ঘরছাড়া করা হয়েছিল। কয়েক হাজদার বাড়ি ভাঙা হয়েছে, গণ ধর্ষণ হয়েছে। তৃণমূলের যে নেতা ওই পরিকল্পনা করেছিল তাকে সার্টিফিকেট দিচ্ছে আমাদের দলের নেতারা? এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে? এর আগেই অনেকে একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন বহু নেতা। ক্ষমতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আমি ও জয়প্রকাশ মজুমদারের(Jay Prakash Majumdar) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ পার্টি ফোরামে আমরা বিরুদ্ধে বলেছি। আমি দলের অনুগত সৈনিক। প্রকাশ্যে পার্টির বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করিনি। এখন দখল করার রাজনীতি চলছে। সব দেখছেন বিজেপি কর্মীরা। দলে কোনও পদ স্থায়ী নয়। একসঙ্গে এতজনকে বাদ দিতে হল! এখন যারা এসেছে তারা সবাই পদার্থ!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)