Shantanu Thakur: 'আমার সঙ্গে সব বিক্ষুব্ধরা বৈঠক করবে,ওরা কি সবাইকে বাদ দিয়ে দেবে?',শোকজ নিয়ে সরব শান্তনু
জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ নোটিস দেওয়ার পরও দলের কোনও বিক্ষুব্ধ নেই বলে মন্তব্য করেন দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য
নিজস্ব প্রতিবেদন: হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহের পর রাজ্য গেরুয়া শিবিরের ডামাডোল আরও প্রকাশ্যে চলে এল। দল বিরোধী মন্তব্য করার জন্য জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ নোটিস দিল রাজ্য বিজেপি।
সম্প্রতি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্টহাউসে দলের একাধিক বেসুরো নেতাদের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur)বৈঠক, পিকনিক করার পরই দল একরম ব্যবস্থা নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এনিয়ে এবার সরব হলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
রবিবার গোবরডাঙ্গায় দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক পিকনিকে যোগ দেন শান্তনু ঠাকুর। সেই পিকনিক শেষ করে বেরিয়ে আসার সময়ে তাঁকে জয়প্রকাশ মজুমদার(Joy Prakash Majumdar) ও রীতেশ তিওয়ারিকে(Ritesh Tiwari) শোকজ নোটিস দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এনিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'পার্টির মনে হয়েছে তাই শোকজ(Show cause) করে দিয়েছে। পার্টি এনিয়ে কোনও বার্তা দিতে চাইছে কিনা তা তাদের ব্যাপার। ওরা যেটা করতে চায় তা তারা করুক।'
বেসুরোদের পিকনিক করা বা পিকনিকে আসার জন্যই কি এই শোকজ? শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'আমার সঙ্গে সারা বাংলার বিক্ষুব্ধরা পার্টি করবে। তাতে ওরা কি সবাইকে বাদ দিয়ে দেবে? দলের যাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তারা যদি আমার সঙ্গে আবার বৈঠক করতে চায় তাহলে তাদের সঙ্গে বৈঠক করব। সবার ভাবমূর্তি বুঝতে চাই।'
জয়প্রকাশকে যে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে দল বিরোধী মন্তব্য করছিলেন। এই ধরনের কার্মকাণ্ড দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সামিল। এতে শৃঙ্খলাভঙ্গ কমিটির সুপারিশ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ অনুযায়ী ওই শোকজ নোটিস পাঠানো হল। ওইসব মন্তব্যের কারণে দলের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এমনসব মন্তব্য কেন তিনি সংবাদমাধ্যমে করেছেন তার লিখিত ব্য়াখ্যা দিতে হবে।
আরও পড়ুন-কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা-সহ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
এদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ নোটিস দেওয়ার পরও দলের কোনও বিক্ষুব্ধ নেই বলে মন্তব্য করেন দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, দলে বিক্ষুব্ধ কেউ নেই। বৈঠক-বনভোজন হতেই পারে। কাউকে শোকজ করা হলে তিনি তার উত্তর দেন। এটা সম্পূর্ণ পার্টির সাংগঠনিক বিষয়। বিজেপিতে কেউ বিক্ষুব্ধ রয়েছেন বলে আমার মনে হয় না। যাদের বিক্ষুব্ধ বলা হচ্ছে তারা বিজেপিতেই রয়েছেন। ভবিষ্যতেও থাকবেন।