নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রয়াত কংগ্রেসের ‘ছোড়দা’। সোমেন মিত্র আর নেই। রেখে গিয়েছেন রাজ্য রাজনীতির এক বিশাল অধ্যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। শেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে প্রয়াত হন ৭৮ বছর বয়সী সোমেন মিত্র। দীর্ঘদিনের কংগ্রেসের সহকর্মী, অনুজ সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে চিঠি লিখে গভীর সমবেদনা জানালেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিঠিতে মনমোহন সিং সোমেন মিত্রকে দলগত ভেদাভেদির ঊর্ধ্বে সবার কাছে জনপ্রিয় ও জনদরদী একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, "রাজনীতিতে দলীয় বেড়াজালের গন্ডি টপকে সবার শ্রদ্ধা আদায় করে নিয়েছিলেন সোমেন মিত্র। একজন দক্ষ সাংসদ ছিলেন। শিয়ালদা আসন থেকে ৭ বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি লাখ লাখ মানুষের জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করে গিয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি। পশ্চিমবঙ্গ একজন আত্মনিবেদিত জননেতা হারাল।" এই কঠিন সময় কাটিয়ে ওঠার জন্য ঈশ্বর যাতে শিখা মিত্রকে সহ্যশক্তি দেন, চিঠিতে সেই প্রার্থনা জানান মনমোহন সিং।




প্রিয় 'সোমেনদা'র প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদও। তাঁর স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে সোমেন মিত্রের রাজনৈতিক কেরিয়ারের নানা দিক। ছোড়দার মৃত্যুতে শোকবিহ্বল গোটা রাজনৈতিক মহল। শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীও। এদিন টুইটে তিনি লেখেন, "সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার এবং পরিজনদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ভালবাসা এবং সম্মানের সঙ্গে তাঁকে আমরা চিরদিন মনে রাখব।"


আরও পড়ুন, প্রিয় নেই, চলে গেলেন সোমেনও, 'দুর্দিনের বন্ধুর' কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে এলো সুব্রতর