মৌপিয়া নন্দী : অটোয় করে সোনা পাচারের চেষ্টা বানচাল করল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স। কলকাতার সল্ট লেক অঞ্চলের একটি অটো থেকে এদিন উদ্ধার হল ৬. ৩৪৭ কেজি সোনা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সোনার মূল্য প্রায় দুকোটি ৫৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, কলকাতার বড়বাজার এলাকায় এই বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সব মিলিয়ে মোট ১৪টি সোনার বাট উদ্ধার করেছে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স। পাচারের এক অভিনব উপায় বের করেছে পাচারকারীরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের ব্যবহার করত পাচারকারীরা। টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের সল্ট লেক অঞ্চলে সোনা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দিত পাচারকারীরা। সেইসব মহিলারা ট্রেন বা বাসে করে সোনা নিয়ে আসতেন সল্ট লেক অঞ্চলে। সেখানে কিছু অটো ড্রাইভারদের হাতে তুলে দিতেন সোনা। তার পর অটোয় করে সেই সোনা পৌঁছে যেত অন্য কোনও বাহকের হাতে। তাদের মাধ্যমে শেষমেশ সোনা পৌঁছত বড়বাজার এলাকায়। 


আরও পড়ুন-  দু'জনকে একই পদ দিতে নারাজ বিজেপি, ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ শোভন-বৈশাখীর



এদিন নাটকীয়ভাবে সোনা পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স। সল্ট লেক থেকে তিনজন মহিলা হাত দেখিয়ে একটি অটো থামায়। তার পর চারজনেই চেপে বসে সেই অটোয়। কিছুটা দূর এগোনোর পরই সেই অটো থামায় ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স-এর অফিসাররা। অটো ড্রাইভার নিজেকে রাজ কুমার সর্দার বলে পরিচয় দেয়। বাকি তিন চার মহিলা নিজেদের রাখি বিশ্বাস, নমিতা বিশ্বাস ও রীনা মণ্ডল নামে পরিচয় দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অস্বীকার করলেও পরে জেরার মুখে সোনা পাচারের ঘটনা স্বীকার করে নেয় তারা। অটোর টুল বক্স থেকে ১৪টি সোনার বাট উদ্ধার করে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স। চলতি আর্থিক বছরে পূর্বাঞ্চল থেকে ৮৬ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স।