Duare Ration: খাদ্য সুরক্ষা আইনে বৈধতা নেই, হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মমতার দুয়ারে রেশন প্রকল্প
এই প্রকল্প নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা হয়েছিল। সেই মামলা পৌঁছায় ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চ আজ ওই রায় দেন। এবার ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে এমন একটা সম্ভবনা তৈরি হয়ে গেল
অর্ণবাংশু নিয়োগী: বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেক হইচই করে রাজ্যে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। ভোটের পর দুয়ারে সরকার প্রকল্পের পর বাড়ির দরজায় রেশন পেয়ে উপকৃত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। খাদ্য সুরক্ষা আইনে এই প্রকল্পের কোনও বৈধতা নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য় সরকার। প্রকল্পটি খাদ্যসুরক্ষা আইন ২০১৩-র বিরোধী। এমনটাই জানাল আদালত। এই প্রকল্প নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা হয়েছিল। সেই মামলা পৌঁছায় ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চ আজ ওই রায় দেন। এবার ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে এমন একটা সম্ভবনা তৈরি হয়ে গেল।
পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
বিধানসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যজুড়ে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন। কিন্তু সেই রেশন পৌঁছে দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে রেশন ডিলারদের। এনিয়ে মামলা ওঠে হাইকোর্টে। কিন্তু সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে। এদিকে, প্রকল্প চালুর পর রাজ্যে এটি প্রবল সাড়া ফেলে দেয়। এর জন্য ডিলারদের পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে গিয়ে যে শস্য় নষ্ট হবে তারও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ডিলারদের অতিরিক্ত কমিশন দেওয়া হবে।
এখন কী করবে রাজ্য সরকার? সরকারের সামনে এখন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছাড়া তেমন কোনও রাস্তা খোলা নেই। গতবছর ১৫ সেপ্টেম্বর পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে দুয়ারে রেশন চালু হয়। নভেম্বর মাসে রাজ্যজুড়ে চালু হয়ে যায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে এই প্রকল্প শুরু কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষ এর সুবিধে পেয়ে আসছিলেন। এবার আদালতের এই রায়ের রাজ্য সরকার কী করে সেটাই এখন দেখার।
হাইকোর্টের ওই রায় নিয়ে এক মামলাকারী বলেন, রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করার কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। প্রকল্প নিয়ে কোনও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু মালপত্র রেশন দোকান থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার যে সমস্যা ছিল তা নিয়েই মামলা করেছিলাম। সেই মামলায় রায় দেওয়া হয়েছে আমাদের আর বাড়ি বাড়ি যেতে হবে না। আমরা সরকারের পাশেই রয়েছি।
এনিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হল রাজ্য সরকারের প্রত্যেকটি পদক্ষেপই হাইকোর্টে চ্য়ালেঞ্জ করা হচ্ছে। হাইকোর্ট যে রায় দিচ্ছে তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। রাজ্যসরকারে বহু সিদ্ধান্ত যেমন সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না তেমনি আদালতও তাকে বৈধতা দিচ্ছে না। এর জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস।