উত্তরবঙ্গ যখন এনসেফ্যালাইটিস জ্বরে কাঁপছে, তখন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছে ডেঙ্গি। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ন-নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আক্রান্ত আরও ছ-জন। যদিও পুরসভা ডেঙ্গির ভয়াবহতা মানতে নারাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ন-নম্বর ওয়ার্ডের আটঘড়া এলাকার ঘরে ঘরে এখন জ্বরের থাবা। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সৌমি আখতার মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে রবিবার। তাঁরই পরিবারের আরও দুই সদস্য ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিত্‍সাধীন বাইপাস লাগোয়া একটি হাসপাতালে। আক্রান্ত এলাকার আরও চার বাসিন্দা। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সৌমি আখতার মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে, একথা মানতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। যদিও যে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সেখানে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এবং ডেথ সার্টিফিকেটে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যালাইজা পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষায় NS1 পজিটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাত্‍ ডেঙ্গির ভাইরাস মিলেছে।


ওই মহিলার মৃত্যুর পর সোমবার পুরসভার কর্মীরা এলাকায় গেলে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। উত্তর ২৪ পরগনার সিএমওএইচের নির্দেশে জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের একটি দল দুপুরে এলাকায় পৌছয়। স্বাস্থ্য দফতর থেকে ভাইরোলজিস্টদের একটি দলও সেখানে পৌছেছে। দশ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। জরুরি ভিত্তিতে বসানো হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প।  


বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোটা এলাকা মশার আঁতুরঘর হয়ে উঠলেও নির্বিকার পুরসভা। গতমাসেই রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভায় বাম পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত নির্বাচন হয়নি। অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিধাননগরের এসডিও। পুরসভার এই টালমাটাল পরিস্থিতির প্রভাব পড়ছে পরিষেবাতেও। এই মুহূর্তে অথৈ জলে ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলাও ।