নিজস্ব প্রতিবেদন: কার্নিশ থেকে ঝুলছে বৃদ্ধার দেহ। গলায় লাগানো ফাঁস, পা দু‍'টো মোড়া। শনিবার সাত সকালে এই দৃশ্যে চাঞ্চল্য ছড়াল দমদম নাগেরবাজার এলাকায়। পরিবারের দাবি আত্মহত্যা। স্থানীয়রা বলছেন খুন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার সকালে নাগেরবাজারের রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে প্রথমে দেহটি দেখতে পান প্রতিবেশীরাই। প্রাথমিক ভাবে পুতুল বলে ভুল করলেও অচিরেই ভুল ভাঙে। বুঝতে পারেন, পুতুল নয়, ঝুলন্ত দেহটি ওই ফ্ল্যাটেরই বাসিন্দা বৃদ্ধা অমিতা দত্তের (৮০)। তাঁরাই ফোন করেন পুলিসকে। পুলিস পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে। আটক করা হয়েছে ছেলে ও বউমাকে।


আরও পড়ুন - মেলায় ‌যন্ত্রচালিত দোলনা নৌকা থেকে ছিটকে পড়ল শিশুকন্যা, ফাটল মাথা, ভর্তি ICU-তে



ছেলে - বউমা ও নাতির সঙ্গে নাগেরবাজারের চারতলার ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন বৃদ্ধা। স্থানীদের দাবি, বৃদ্ধার ছেলে তাঁদের জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে মাংস কিনে আনেন তিনি। মা-কে বলেন রান্না করতে। মাংস-ভাত খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। সকালে পরিচারিকা এসে কলিং বেল বাজালে সাধারণত দরজা খুলে দেন বৃদ্ধাই। কিন্তু এদিন পরিচারিকা বারবার বেল বাজানোয় দরজা খুলে দিয়ে ফের ঘুমিয়ে পড়েন নীলাঞ্জনবাবু। পরিচারিকা বেরিয়ে ‌যাওয়ার সময় নীলাঞ্জন বাবুকে জানান, তাঁর মা-কে কোথাও দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। 


এর পরই মা-কে খুঁজতে বেরোন তাঁরা। ততক্ষণে হট্টগোল শুরু করে দিয়েছেন এলাকাবাসীরাও। খবর ‌যায় পুলিসে। ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। 


স্থানীয়দের দাবি, দেহটি ‌যে ভাবে ঝুলছিল তাতে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাটে না। চার তলার ব্যালনি থেকে তিন তলার ব্যালনির ছাউনিতে পা ঠেকে ছিল মহিলার। কী ভাবে এই অবস্থায় কেউ আত্মঘাতী হতে পারেন প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। তাছাড়া ঘরের ভিতরেও আত্মঘাতী হতে পারতেন তিনি। চার তলার ব্যালকনি গ্রিল দিয়ে ঘেরা ছিল না। সেক্ষেত্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার বিকল্পও খোলা ছিল। সব দিক খতিয়ে দেখতে ছেলে ও বউমাকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিস। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।