বছর খানেক আগেও তাঁকে কেউ চিনত না। প্রত্যক্ষ রাজনীতি করতেন না। গত বিধানসভা ভোটের আগে হঠাত্ই বিজেপির মুখ হয়ে যান ঝাড়গ্রাম থেকে উঠে আসা সেদিনের দিলীপ। আর আজ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সর্বময় কর্তা। কীভাবে তিনি এলেন রাজনীতিতে? আরএসএস থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদের ‌যাত্রাপথটা কেমন ছিল? আগামী দিনে কী তাঁর লক্ষ্য? রাজনীতি থেকে ব্যক্তি জীবন- এবারের ই-নৈবেদ্য শারদীয়া সংখ্যায় সব কিছু নিয়েই মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। খোশ মেজাজে আড্ডা মারলেন ২৪ ঘণ্টা ডট কমের প্রতিনিধি শুভঙ্কর মিত্রের সঙ্গে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফেসবুকেই তো বিজেপিকে দেখা ‌যাচ্ছে, মাঠে ময়দানে তো আপনারা নেই


‌অতিসম্প্রতি পশ্চিমবাংলায় যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, সবকটিতেই বিজেপি দ্বিতীয়স্থানে। যারা বলছে, তারা নিজেরাই ময়দানেই নেই।  কংগ্রেস, সিপিএমের নেতাদের সঙ্গে দেখা হলেই দিদি জিজ্ঞেস করছেন, আপনাদের দলের লোকজন বিজেপিতে ‌যোগ দিচ্ছে কেন? বিজেপিই লড়ছে। বিজেপিই আছে। ‌যাকে ভয় দেখাবার, সেই তৃণমূলকেই ভয় দেখিয়ে দিয়েছি আমরা। সিপিএম আছে কোথায়? হলদিয়াতে ওদের বিধায়ক আছে। সেখানে পুরভোটে ঝান্ডাই লাগাতে পারেনি। হতে পারে সেটিং হয়ে গিয়েছে।  


ফাস্ট বয় তো হতে পারছেন না


সাধারণ মানুষই আমাদের প্রথম করে দেবে। সেজন্য আমরা সংগঠন বাড়াচ্ছি। আমরা সংগঠন করেছি কি না, সেটা পঞ্চায়েত নির্বাচনেই দেখা ‌যাবে।


সংগঠন না হয় বাড়াচ্ছেন, আপনাদের মুখ কে? 


সংগঠন দেখা ‌যায় না। অনুভব করতে হয়। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীকে কে চিনত? মহারাষ্ট্রেও তো নতুন মুখকে মুখ্যমন্ত্রী করেছি। ঝাড়খণ্ডে কেউ মুখ ছিল না। অসমে সর্বানন্দ সোনো্য়ালকে মুখ করা হয়েছে।


মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে আপনাদের পোক্ত সংগঠন রয়েছে। মুখ তো দূরের কথা বাংলায় তো সংগঠনও নেই। তৃণমূলকে টেক্কা দেবেন এভাবে? 


আমরা রাস্তায় আছি। আন্দোলন করছি। মানুষের মধ্যে থেকেই মুখ উঠে আসবে। দল জিতলে নেতা আপনা আপনিই নেতা তৈরি হয়ে ‌যাবে। তৃণমূলে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ ছিল না। কংগ্রেসেরই বা মুখ কে? সিপিএমেই বা কে আছে?  


পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মার একটা প্রভাব আছে। বিধানচন্দ্র রায়, জ্যোতি বসু হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার ইমেজকে টক্কর দেবে কে?
 
ভোটের শতাংশ আমরা এগিয়ে আছি। আন্দোলনে এগিয়ে আছি। মমতা বন্দোপাধ্যায় ২৫ বছর ধরে রাজনীতি করার পর মানুষ তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পাঁচ বছরে আমাদেরও নেতা তৈরি হ‌যে ‌যাবে। প্রদেশ স্তরে কোনও মুখ নেই ঠিকই। তবে জেলায় জেলায় মুখ তৈরি হ‌য়ে ‌যাচ্ছে। আমরা আদর্শের ভিত্তিতে দল চালাই। সংগঠন নিয়ে কাজ করি। সঙ্ঘবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চার বছর আগেও কেউ ভাবেননি নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবেন। পরিশ্রম ও কাজ করছি। ঠিক সময়েই দেখতে পাবেন। 


আপনাদের দলে তো আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও আছে


আমার জানা নেই। আমার সঙ্গে কারও বিবাদ নেই। আমি এই দলে ছিলাম না। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করছি। কেউ দলের শৃঙ্খলা না মানলে তো আমার কিছু করার নেই!


জোড়াসাঁকোয় তো রাহুল সিনহা হেরেছেন। রাহুলের সঙ্গে তো আপনার অহিনকূল সম্পর্ক?    


আমরা বড়বাজারে সমস্ত শক্তি লাগিয়েছিলাম। আমি তো প্রথমবার নির্বাচন লড়েছিলাম। আমার দলের কর্মীরা প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন। নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা হল। আমি জিতেছি। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি থাকে। জেতাটা অভ্যাস করিনি। এবার আমরা করছি। ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নিচ্ছি।  


আপনার উপরে তো অমিত শাহ বেজায় ক্ষুদ্ধ


সংবাদমাধ্যমের কেউ উপস্থিত ছিলেন না বৈঠকে। কে কী বলছেন জানি না। অমিত শাহ বলেছেন, তোমরা ‌যেভাবে কাজ করছো, সেভাবে আমরা ২০২১ সালে জিততে পারব না। গতি বাড়াতে হবে। আমি নিজের কাজেই খুশি নই। আরও গতিতে কাজ করতে চাইছি। অমিত শাহ সময় বেঁধে কাজ করতে বলেছেন। 


পাল্টা মারার কী নির্দেশ দিয়েছিলেন? 


উনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, কারও বক্তব্য থাকলে বলো? কিন্তু কান্নাকা‌টি করলে হবে না। রাজনীতি করলে সংঘর্ষ হবেই। পাল্টা মারের কথা বলেননি। তবে ‌যেখানে ‌যেমন সেখানে তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজনৈতিকভাবে লড়াই করেই জিতে আসতে হবে।  


ভোটে হারার পরে তো অজুহাত দিয়েছিলেন


দুর্গাপুরে তৃণমূলের কাউন্সিলর নিজেই ভোট দিতে পারেননি। আমরা একমাস ধরে বিস্তারক ‌যোজনা করেছি। আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়েছিল। আড়়াইশোটা এফআইআর করেছি। অর্ধেক ঘটনায় এফআইআর নিতেই চায়নি পুলিস। আমার এলাকায় বিজেপির মিছিলে হামলা হয়েছে। আমরা ওদের আরও বেশি মেরেছি। ‌যেখানে শক্তি আছে, সেখানে পাল্টা দিতে হবে। পুজোর পর থেকে আমরা মারের বদলে মারই দেব। মাঠে শারীরিক, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে প্রতিরোধ করব। তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।  


পঞ্চায়েত ভোটে লড়বেন, জামানতের জব্দের টাকা রাখছেন?


বালি খাদানের টাকা, পাথর খাদানের টাকা, গরু পাচারের টাকা, পুলিসকে দিয়ে টাকা তুলছে তৃণমূল। লুঠ করছে। আমরা টাকার চিন্তা করছি না। মানুষ পাশে আছেন। আগে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতাম। পুরসভায় সব জায়গায় প্রার্থীও দিতে পারতাম না। এবার সব জায়গায় দিয়েছি। আমরা ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫৮ হাজার আসনে প্রার্থী দেব। তৃণমূল এবার দেখবে। 


আবার তো জামানত জব্দের পর অজুহাত দেবেন 


৫৮ হাজার আসনে মারপিট করতে পারবে না তৃণমূল। আমি বলে রেখেছি, গ্রামে দুর্বৃত্তরা ঢুকলে কেউ ‌যাতে অক্ষত ফিরতে না পারে। প্রতিরোধ করার অধিকার আছে আমাদের।  


ক’টা জেলা পরিষদ দখল করতে পারবেন?


সেটা এখনই বলতে পারছি না। সব জায়গায় আমরা শক্তিশালী হচ্ছি। বিনা ‌যুদ্ধে এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়ব না। 


লোকসভায় টার্গেট কত? 


২১টা আসন। বিধানসভার পর সমীক্ষা করে এটাই বের করেছি। এখন তো ২২টি আসনে পৌঁছে গিয়েছি। মমতা ৩৪টা পেতে পারেন আমরা পাব না কেন? ওনার সংগঠন ভাল ছিল না। তার চেয়ে আমাদের সংগঠন ভাল আছে। 


আসানসোল ও দার্জিলিং- এই ২ টো আসনই কি ধরে রাখতে পারবেন? 


ওটা তো ছেড়েই দিন। তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা আদৌ দাঁড়াতে পারবেন তো! সন্দেহ আছে। কত জন স্বচ্ছ প্রার্থী পাবেন?  সবাই হয়তো ১৮ সালেই জেলে ঢুকবেন। ২২টা কেন ২৫টা হতে পারে। 


বাংলায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। দিবাস্বপ্ন দেখছেন?


তিন তালাকের বিপক্ষে একটাও কথা বলেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়। মানুষ বুঝতে পেরেছেন উনি শুধু রাজনীতি করতে পারেন। মহিলারা অত্যাচারিত হচ্ছেন, শিশু পাচার হচ্ছে। বাংলার মানুষ মহিলাদের সম্মান করেন। এখানে মহিলাদের মাতৃরূপে পুজো করা হয়। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই মহিলারা নিরাপদ নন। সংখ্যালঘুরা আমাদের ভোট দেবেন। 


উত্তরপ্রদেশের ফর্মুলাই আপনারা বাংলায় প্রয়োগ করছেন। লাভ হবে?


ভারতের প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আলাদা পরিস্থিতি। সব জায়গায় পরীক্ষানিরীক্ষা করে আমরা সফল হয়েছি। সব ধরনের ওষুধ আমাদের কাছে আছে। নেতৃত্বও আছে। আর বাংলায় আমরা জিতবই। অসম, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানায় আমাদের কোনও সু‌যোগই ছিল না। অসমে তো বাংলার চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ছিল।  


২০১৯ সালে মমতাকে কি এনডিএ জোটে ডাকবেন অমিত শাহ? 


বিজেপির কাউকে দরকার নেই। কেউ এলে না বলব না। গায়ে কাদা লেগে রয়েছে, এমন লোককে নেব না।  


মমতা বন্দোপাধ্যায় আসতে চাইলে?


মমতার দলটাই উঠে ‌যাবে। সবাই তো চোর। দিল্লির লোকেরাই ঠিক করবেন। আগে তো উনি ভাবুন। সংখ্যালঘু ভোটের মায়া কি ত্যাগ করতে পারবেন?  


তাহলে মমতাকে স্বাগত জানাচ্ছেন 


আমি কাউকে স্বাগত জানাচ্ছি না। বহিষ্কারও করছি না। 


তার মানে সম্ভাবনা আছে 


কারা আসবেন, সেটা দিল্লির লোকেরা ভাববেন। আমাদের ভয়ে ‌উনি এনডিএ-তে ‌যোগদান করতে পারেন। তবে সেই দরজাটা ছোট হয়ে গিয়েছে। আমাদের কাউকে লাগবে না। 


ঋতব্রত কি লাল ছেড়ে গেরুয়া জার্সি পড়ছেন?


ঋতব্রত বাসাহারা হয়ে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে ওনার আশ্রয় লাগবে। ওনাকে ইস্তফা দিয়ে আসতে হবে। দিল্লির ব্যাপার এটা। আমরা সবার জন্য দরজা বড় করে রেখেছি। তবে কৈলাসজি বলেছেন, ছাঁকনি লাগানো আছে।


কৈলাস বিজয়বর্গীয়ই তো মুকুল ও ঋতব্রতর সঙ্গে বৈঠক করেছেন, মুকুল রায়কে কবে গেরুয়া আবির মাখাচ্ছেন? 


এখনও উনি তৃণমূলেই আছেন। ছাড়লে আমরা চিন্তাভাবনা করব। (মুকল তৃণমূল ছাড়ার আগের সাক্ষাত্কার)


একেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এবার তো মুকুল গোষ্ঠী তৈরি হবে। আপনার কী হবে? ব্যুমেরাং হবে না তো!


সবাইকে কাজ করে দেওয়ার সু‌যোগ দেওয়া হয় আমাদের দলে। আমাদের দলে এভাবে সভাপতি হওয়া ‌যায় না। তৃণমূলের অনেকেই আসছেন। মুকুলের চ্যালারা ঢুকে পড়েছেন।


মুকুল রায়ের মতো ভাল সংগঠক আসলে কতটা লাভবান হবেন? 


মুকুল আসলে সংগঠনে লাভবান হব। আমাদের মন অনেক বড়। কাজের লোক, ভাল লোক হলে নেব। সর্বানন্দ সোনোয়াল ও হিমন্তবিশ্ব শর্মা অন্যদল থেকে এসেছেন।  


নিন্দুকরা বলছেন, সারদা-নারদে সেটিং হয়েছে? 


সেটা কেউ ভাবতেই পারেন। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে কেউ আত্মবিশ্বাসী হতেই পারেন। তবে শুনেছি তো একজন ওড়িয়া ভাষা শিখতে শুরু করে দিয়েছেন। এক সাংসদ মারা গেলেন, তৃণমূল বলল সিবিআই-এর ভয়ে মারা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছে। সিবিআই, ইডি তদন্ত করছে। আমাদের ধারণা, অভি‌যোগ সত্যি।


আপনারও তো একটা আশা রয়েছে 


আমার ইচ্ছা বিজেপি ক্ষমতায় আসুক। সভাপতি হিসেবে আমাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


ক্ষমতায় আসার পর 


আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। ক্ষমতায় পার্টিকে নিয়ে আসাই আমার দায়িত্ব। আমি কোনওদিনই রাজনীতি করব ভাবিনি। আরএসএস-র প্রচারক হিসেবে ৩২ বছর কাজ করেছি। রাজনীতি শিখছি। যা ভাল মনে হচ্ছে করছি। ‌যারা সঙ্গে আছেন, ‌যারা আসতে চাইছেন, তাঁদের নিয়ে এগিয়ে ‌যেতে চাই।


মুকুল ও দিদি দুজনেই স্বাগত, অথচ দুজনের বিরুদ্ধে আপনারা কেলেঙ্কারির অভি‌যোগ তুলেছেন


সারদার পরীক্ষায় পাশ করে আসতে হবে। আমার সঙ্গে কারও কথা হয়নি। দিল্লি কথা বলছে। 


তৃণমূল ছেড়ে কেউ সত্যিই আসছে, না আপনারা বাজার গরম করছেন? 


সব বড় বড় নাম আছে। এখনই বলব না।


হিন্দুত্বের রাজনীতি আপনাদের পুঁজি, তো পুজোয় কীভাবে জনসং‌যোগ? 


আমাকে বহু জায়গা থেকে উদ্বোধনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চতুর্থী ও পঞ্চমী দিল্লিতে দলের বৈঠকে ‌যোগ দেব। ষষ্ঠীতে কয়েকটা উদ্বোধন করব। 


বিসর্জন রাজনীতি কতটা মাইলেজ দিল?  


আমরা ‌যেটা বলেছিলাম, হাইকোর্ট সেটাই বলেছে। নজর ঘোরাতেই একমাস আগে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সব বিষয়ে লাভক্ষতি আমরা দেখি না। উনিই অ‌যথা বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। খেলা-মেলা এসব করে বেড়াচ্ছেন।


আরএসএস থেকে বিজেপির সভাপতি, ‌যাত্রাপথটা কেমন?


আমার জীবনে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। খড়গপুরে আমার জেতাটা দরকার ছিল। চাচা ছিলেন আমার প্রতিপক্ষ। ওনার বিরুদ্ধে একটাও কথা বলিনি। তা সত্ত্বেও জিতেছি। সংসদীয় রাজনীতিতে এসেছি। প্রথমবার বিধানসভায় ঢুকেছি আমি। একইসঙ্গে দলকেও দেখা। সব সামলাচ্ছি। দলের লোকেরাও পাশে আছে। 


কবে জানতে পারলেন আপনিই বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন?  


আট-ন মাস বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। মাসখানেক ধরে জল্পনা চলছিল। মনে হল আমার কথা ভাবা হচ্ছে। একবছর আগেও বাংলায় লোকে জিজ্ঞেস করত বিজেপি আছে কি না। আজ শুধু বিজেপিই আছে। অমিত শাহ বলেছিলেন, ইলেকশন লড়না হ্যায় ক্যায়? খড়গপুরকে বাছলাম। ওখান থেকে আমাদের কাউন্সিলর ভাঙিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। বদলা নেওয়ার ব্যাপারও ছিল।


বিজেপি সভাপতি হিসেবে নিজেকে ১০-এ কত দেবেন?


আমার পরীক্ষায় আমি নিজেকে নম্বর দেব না। তিন বছর পার করলে বুঝতে পারব। সবচেয়ে ভাল পরীক্ষক সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগের চেয়ে সংগঠন ভাল হয়েছে। আরও ভাল করার চেষ্টা করছি। 


পুজোর সময়টা কীভাবে কাটান? 


ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে বাড়ি ছিল। সেখানে তো কলকাতার মতো পুজো হত না। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্প করতাম। এদিক ওদিক ‌যেতাম। সঙ্ঘের কাজে আটবছর ছিলাম আন্দামান নিকোবরে। সেখানেও পুজো হত।


এবার কোথায় থাকবেন?  


ষষ্ঠীর দিন উদ্বোধন করব। সপ্তমীতে খড়গপুরেই থাকব। মণ্ডপে মণ্ডপে ‌যাব। লোকের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ। ইচ্ছে আছে, পুরনো জায়গায় গিয়ে দুদিন শান্তিতে থাকব। একটু বিশ্রামও দরকার। 


  আরও পড়ুন, ''মায়ের বিয়ের শাড়ি চুরি করে, পাঁচ বছর বয়সে পুজোয় হাতেখড়ি''


আরও পড়ুন, ​​বাবার ক্যান্সার, ১৫ বছরেই সংসারের জোয়াল 'রানি রাসমণি'র কাঁধে


আরও পড়ুন, ​​২৪ ঘণ্টার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমন চক্রবর্তী


আরও পড়ুন, আদর্শ শঙ্কর, দুর্গমকে সুগম করাই প্যাশন অভিযাত্রী অনিন্দ্যর


আরও পড়ুন, রেডিও ধার্মিক মীরের কাছে মহীষাসুরমর্দিনী আজও গাইডবুক