প্রীতম দে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাঁচের দশকের কথা। তখন চাঁদা তুলে হতো দুর্গাপুজো। লক্ষ টাকার থিমের ভাবনা স্বপ্নেও আসত না। উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজো কমিটিতে তখন তাবড় তাবড় সব নাম। সুনাম খেলাধুলাতেও। প্রতিবছর দুর্গাপুজোও করত তারা। ১৯৫৯ সালে দুর্গাপুজোর দায়িত্ব দেওয়া হল শিল্পী অশোক গুপ্তকে। সাবেকি প্রতিমা সাজল প্রথম থিমের সাজে।  তখন বাজেট ছিল মেরেকেটে ১৫ থেকে ২০ হাজার। সেই থিমই ফিরতে চলেছে এবার। অতীতে ফিরছে জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজো।  


শুরুটা হয়েছিল সাবেকি প্রতিমায় রঙের বদল দিয়ে। যা নিয়ে সে সময় কম বিতর্ক হয়নি! এখনকার বিতর্কের কাছে তা নেহাতই শিশুসুলভ। সেই সময়ে শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পুজো কর্তারা। বোধন হয়েছিল কলকাতার প্রথম থিমপুজোর। সে কথা মাথায় রেখেই শহরের পুজোর প্রথম থিমশিল্পীর সেই কাজকে রিমেক করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। 


শিল্পী সুব্রত পালের মস্তিষ্কপ্রসূত 'বনগাঁ লোকাল' থিমে চমক দিয়েছিল জগৎ মুখার্জি পার্ক। সেই সুব্রতবাবুই এবার পুজোর দায়িত্বে। করোনা অতিমারির মাঝে পুজো ফিরছে পুরনো দিনে। অর্থনীতির অধোগতিতে বাজেটেও টান। তবে তাতে থমকে যাচ্ছে না পয়লা থিমের পুনর্নির্মাণ। সেই সময়ের সাক্ষী পার্কের গাছের শিকড় ব্যবহার করা হবে মন্ডপ সজ্জায়। থাকবে পুরনো দিনের ইটের ব্যবহার।



পুজোপাগল বাঙালির কাছে দুর্গাপুজোই নস্টালজিয়া। বড়দের মনে পড়ে ছোটবেলার কথা, আবার বিদেশে থাকা বাঙালির শয়নে-স্বপনে কলকাতার আলো ঝলমল রাস্তা। আর এবার তো 'টাইম ট্রাভেল'। প্রতিকূলতার মাঝেও বাঙালি ভাসবে নস্টালজিয়ায়। কারণ, মা আসছেন...


আরও পড়ুন- অনলাইনে কেনাকাটা করছি, তবে সামনে থেকে দেখে কেনার মজাটা মিস করছি : মনামী