সৌরভ পাল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহালয়ের এখনও দিন পাঁচেক বাকি। এরই মধ্যে সপরিবারে মর্তে চলে এলেন দুর্গা। বিগত দশ বছর ধরে যে বাড়িত এসে উঠছেন, এবারও তিনি ট্যাংরার সেই দাস বাড়িতে এসেই উঠলেন।


আজ (বুধবার ) দুর্গার বোধন সারলেন দাস বাড়ির দুই সদস্য প্রসেনজিত্ এবং মৌমিতা। প্রসেনজিত্ বাবু পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এবং মৌমিতা দেবী একজন চিকিত্সক। দাস পরিবারের এই দিদি-ভাই, ছোটবেলা থেকেই হিন্দু পুরাণ নিয়ে পড়াশুনা করতেন। হিন্দু ধর্মের নানান পুজার্চনা নিয়ে তাঁদের আগ্রহও বহুদিনর। প্রসেনজিত্ বাবু তাঁদের বাড়ির দুর্গা পুজো নিয়ে জানাচ্ছেন, “এই পুজো কৃষ্ণ নবমী থেকে শুরু হয় এবং তা চলে শুক্লা নবমী পর্যন্ত। মূলত রঘুনন্দন দুর্গোত্সব তত্ত্ব ও নান্দিকেশ্বর পুরাণ মতে এই পুজো করা হয়।”



বোধন হওয়ার পর থেকেই নিত্যপুজো ও সন্ধ্যারতি-র মাধ্যমে দুর্গার আবাহন সম্পন্ন হয়। আর মহালয়ার পর থেকেই প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী পর্যন্ত দুর্গাকে নিত্য নতুন দ্রব্যাদি উত্সর্গ করা হয়। আর তারপর সাধারণত যে নিয়মে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পালিত হয়ে সেই নিয়মেই পুজো চলে দাস বাড়িতেও।   


বেলুড় মঠের মতো দাস বাড়িতেও ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পুজো।


প্রসঙ্গত, মৌমিতা দাস ও প্রসেনজিত্ দাস এই পুজো শুরু করেছিলেন ২০০৭ সালে। সেই থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ট্যাংরার দাস বাড়ি আড়ম্বরের সঙ্গেই ১৭ দিন ধরে দুর্গা  করে আসছে। এবারও তাঁরা দেবী আরাধনায় মেতেছেন। এবারে দাস বাড়ির প্রতিমা এসেছে কুমোরটুলি থেকে। দুর্গাকে মৃণ্ময়ী রূপ দিয়েছেন শিল্পী প্রশান্ত পাল।