নিজস্ব  প্রতিবেদন: 'চাকরি নয়, দোষীদের শাস্তি চাই'। কলকাতায় DYFI-র সদর দফতরে শেষশ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর বাঁকুড়ার কোতলপুরের পথে মইদুল ইসলাম মিদ্যার মরদেহ। কলকাতা ছাড়ার পর হুগলির ডানকুনি, চন্ডীতলা ,মশাট , শিয়াখালায় রাস্তার দু'ধারে দাঁড়িয়ে মরদেহে মালা দিলেন  SFI-DYFI কর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জেই কি মৃত্যু? কলকাতা পুলিসের মর্গে এদিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ময়নাতদন্ত চলে DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দেহে  অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন কোনও চিহ্ন নেই। তবে হাঁটুতে ঘর্ষণজনিত চোট ছিল। ভিসেরা রিপোর্টে এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি কোথায় ভর্তি ছিলেন মইদুল? কেন তাঁকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি? পুলিসেও বা খবর দেওয়া হল না কেন? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুড়ল মুখ্যমন্ত্রীর কুশপতুল, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ বামেদের


ময়নাতদন্তের পর সন্ধেয় মিছিল করে মইদুল ইসলাম মিদ্যার মরদেহ আনা হয় এজেসি বোস রোডে, DYFI-র সদর দফতরে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এমজি রোড হয়ে এগিয়ে চলে মিছিল। শববাহী গাড়িতে ছিলেন মৃতের পরিবারের লোক ও পাড়া-প্রতিবেশীরা। মইদুলের ভাইয়ের সাফ কথা,  'আমরা কোনও পার্টি দোষ দিচ্ছি না। তবে যারা দাদাকে মারল, তাদের শাস্তি চাই। পুলিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চাকরি চাই না'। আর আর্থিক সাহায্য? জবাব এল, 'সরকার ভাবনা চিন্তা করে যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত। তবে দোষীদের শাস্তি চাই'।  DYFI দফতরে মইদুলকে শেষশ্রদ্ধা জানান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ সিপিএমের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা। এরপর মরদেহ নিয়ে বাঁকুড়ার কোতলপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান নিহতের পরিবারের লোকেরা। রাতে গ্রামের বাড়িতে মইদুল ইসলাম মিদ্যার শেষকৃত্য হবে বলে জানা গিয়েছে।