মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুড়ল মুখ্যমন্ত্রীর কুশপতুল, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ বামেদের

পথ অবরোধ-মিছিল-থানা ঘেরাও। 

Updated By: Feb 15, 2021, 09:12 PM IST
মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুড়ল মুখ্যমন্ত্রীর কুশপতুল, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ বামেদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে 'আহত' হয়েছিলেন। DYFI কর্মীর মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে দিনভর রাজ্য জুড়ে চলল পথ অবরোধ-মিছিল-থানা ঘেরাও। পোড়ানো হল মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল। বর্ধমানের পূর্বস্থলী স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন বিক্ষোভকারীরা।

নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জের অভিযোগে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করেছিল বামেরা। DYFI কর্মীর মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্য়ুতে সেই ক্ষোভের আগুনের আগুনে ফের নতুন করে ঘৃতাগুতি পড়ল। বামেদের অভিযোগ, পুলিসের লাঠিচার্জের কারণে মৃত্যু হয়েছে মইদুলের। তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মৃত বাম যুবকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরও কেন পুলিস বা বাড়ির লোককে জানানো হল না? সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এসবের মাঝেই এদিন মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নামল বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: মইদুলকে ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি কোথায় রাখা হয়েছিল? কীভাবে চিকিৎসা? তদন্তে পুলিস

সম্প্রতি চন্দননগরের পুলিস কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন হুমায়ুন কবীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। এদিন চন্দননগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান DYFI কর্মীরা। প্রাক্তন পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের।  উত্তর ২৪ পরগনায় দেগঙ্গায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন DYFI ও SFI সদস্যেরা। সন্ধেয় স্থানীয় বেড়াচাঁপা চৌমাথা এলাকায় টাকি রোড অবরোধ করা হয়। টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। অবরোধের জেরে তীব্র যানজন সৃষ্টি হয় টাকি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শেষপর্যন্ত পুলিসের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। বারাসতে অবরোধ চলে জাতীয় সড়়কে। 

আরও পড়ুন: ভর্তির পর বাড়ির লোক ও পুলিসকে কেন জানানো হয়নি? মইদুল-মৃত্যুতে প্রশ্ন Mamata-র

সরস্বতী পুজোর আগে রাস্তায় মানুষের ভিড় ছিল যথেষ্টই। মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে সন্ধেয় বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জনগেটে একযোগে পথ অবরোধ করে DYFI ও SFI। মুখ্যমন্ত্রীর কুশুপুতুল দাহ বা রাস্তায় টায়ার জ্বালানোই শুধু নয়, বাসে ভাঙচুর ও পুলিসকর্মীদের নিগ্রহের অভিযোগও ওঠে। পূর্বস্থলী স্টেশনে আবার রেল অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। বামেদের ধিক্কার মিছিল বেরোয় চুঁচুড়ার চকবাজার মোড়ে। মৌন মিছিল ও পথ অবরোধ হয় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি হাতে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটেন DYFI কর্মীরা। মিছিল শেষে অবরোধ হয় ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে। বাঁকুড়াতেও পথে নামেন বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা। একই ছবি দেখা যায় দুর্গাপুর ও আসানাসোল শিল্পাঞ্চল, ডায়মন্ড হারবারেও।

.