নিজস্ব প্রতিবেদন : মেট্রো বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৌবাজারের কাছে থাকা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিনটি ৫ মিটার এগনোর অনুমতি দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, কাজ সম্পূর্ণ হলে আবার রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। একইসঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে আরও একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট বদলের কোনও পরিকল্পনা বা প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তার বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, প্রথম মেশিনটার ক্ষেত্রে কোনও একটি জায়গায় সমস্যা হয়েছিল। সেকারণে প্রথম মেশিনটি জল আটকাতে পারেনি। তাই জল ঢুকে এসেছিল। এখন সেকেন্ড টানেলে দ্বিতীয় মেশিনটার ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কেএমআরসিএল। বৌবাজার বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় মেশিনটির মধ্যে আরও ৩টি লেয়ারে জল আটকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় মেশিনে সেই নতুন জল নিরোধক ব্যবস্থা রাখতে গেলে, এখন মেশিনটাকে ৫ মিটার এগোতে হবে।


প্রসঙ্গত, পুজোর মুখে বৌবাজারে বিপর্যয় ঘটে। মেট্রোর কাজের জেরে ধস নামে বৌবাজারে। একের পর এক ধসে পড়ে বাড়ি। এলাকা ছেড়ে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে এই এলাকার বাসিন্দারা মাথার ছাদ হারায়। ভিটেমাটি হারিয়ে হোটেলে আশ্রয় নিয়ে বাধ্য হয়। সেইসময় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সুড়ঙ্গের মধ্যেই রেখে দেওয়া হয় টানেল বোরিং মেশিন। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ। পাশাপাশি, বৌবাজারের পরিস্থিতি, বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে পরিবহন দফতর ও মেট্রোর পক্ষ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়।



৮ নভেম্বর ছিল সেই মামলার শুনানি। পরিবহন দফতর ও মেট্রোর পক্ষ থেকে সেদিন সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিন কাজ শুরু করার অনুমোদন দেয়নি আদালত। পাশাপাশি, সেদিন আদালতের কাছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ শিয়ালদহের দিকে থাকা টানেল বোরিং মেশিনটি সরানোর অনুমতি চায়। উল্লেখ্য, বৌবাজারে যখন বিপর্যয় ঘটে, তখন শিয়ালদহে একটি মেশিন কাজ করছিল। সেই মেশিনটি ঠিক-ই আছে। তাই সেই মেশিনটি অন্তত ৫ কিমি সরানো যাবে কিনা, আদালতের কাছে তার অনুমতি চায় মেট্রো। সেই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিশেষজ্ঞ কমিটির একটি রিপোর্ট তলব করে।


আরও বলুন, 'অন্ধেরিনগরি জঙ্গলরাজ চলছে, ভয় পেয়েছেন মমতা', কটাক্ষ বিজয়বর্গীয়


এরপর গত শুক্রবার আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বৌবাজারে টিবিএম মেশিন সরানো হলে বাসিন্দাদের কোনও ক্ষতি হবে না বলে আদালতকে জানায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশ করে মেট্রো জানায়, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের কাছে তাদের যে মেশিনটি রয়েছে, সেটি সচল রাখতে ৫ মিটার সরাতে হবে। মাটির নীচে মেশিনটি সরালে নতুন করে আর কোনও সমস্যা হবে না। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আজ ছিল মামলাটির পরবর্তী শুনানি। সেখানেই মেট্রো বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে সায় দিয়েছে আদালত।


আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন ZEE NEWS অ্যাপ। আর সিলেক্ট করুন ZEE ২৪ ঘণ্টা। ক্লিক করুন এখানে