মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বাইপাসে ডেঙ্গির আঁতুরঘড়, বেহুঁশ পুরসভা
ডেঙ্গির প্রকোপ রাজ্যে। অথচ শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্টারি ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস এখন ডেঙ্গিবাহক মশার ব্রিডিং গ্রাউন্ড। মেট্রো প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সাইট জুড়ে জমে রয়েছে বর্ষার জল, আবর্জনা। পুরসভার সাফাই, রেলের অনুমতি ছাড়া মেট্রোর জমিতে কিছু করা সম্ভব নয়। হুঁশ নেই রেলেরও। এই টানাপোড়েনের মাঝে বিপদ বেড়েই চলেছে। খোলা জায়গায় জল জমতে দেওয়া যাবে না। বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু একি হাল বাইপাসের?
ওয়েব ডেস্ক : ডেঙ্গির প্রকোপ রাজ্যে। অথচ শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্টারি ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস এখন ডেঙ্গিবাহক মশার ব্রিডিং গ্রাউন্ড। মেট্রো প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সাইট জুড়ে জমে রয়েছে বর্ষার জল, আবর্জনা। পুরসভার সাফাই, রেলের অনুমতি ছাড়া মেট্রোর জমিতে কিছু করা সম্ভব নয়। হুঁশ নেই রেলেরও। এই টানাপোড়েনের মাঝে বিপদ বেড়েই চলেছে। খোলা জায়গায় জল জমতে দেওয়া যাবে না। বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু একি হাল বাইপাসের?
বাইপাসে ডেঙ্গির আঁতুরঘর
ইস্টার্ন বাইপাসের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে মেট্রো প্রকল্পের কাজ। ভাঙাচোড়া বিম, কংক্রিটের স্তুপ, চৌবাচ্ছা, পড়ে থাকা আবর্জনা। বর্ষার জমা জল পড়ে রয়েছে সর্বত্র। আর সেই জমা জলই ডেঙ্গির জীবাণু বাহক মশার ব্রিডিং গ্রাউন্ড। ছোট জায়গা হলেও, তা যে অবহেলার নয় তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা। ডেঙ্গি বাহক মশা ছোট জায়গায় লার্ভার জন্ম দেয়। বিশেষ করে প্ল্যাস্টিকের কাপ, মাটির ভাঁড়, ডাবের খোলা, ফুলদানি এই মশার ব্রিডিং গ্রাউন্ড।
নির্মীয়মাণ মেট্রো প্রকল্প এখন কার্যত ডেঞ্জার জোন। কিন্তু এনিয়ে দায় এড়িয়েছে কলকাতা পুরসভা এবং বিধাননগর পুরনিগম। পুর কর্তৃপক্ষের সাফ কথা, মেট্রোর কাজ চলছে রেলের জমিতে। রেল অনুমতি না দিলে কিছু করা সম্ভব নয়। এনিয়ে রেলেরও কোনও মাথাব্যাথা নেই। তবে রেল যদি অনুমতি দেয়ও, জমা জল সরিয়ে, আবর্জনা সাফ করা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তার মধ্যে হু হু করে বংশবৃদ্ধি করবে ডেঙ্গিবাহক মশা। প্রতিবছরই বর্ষার শুরু থেকে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেয়। তাহলে পুরসভারই বা এত দেরিতে ঘুম ভাঙল কেন?