রণয় তেওয়ারি: গার্ডেনরিচে যখের ধন। ১৪ ঘণ্টায়  ১৭ কোটি পার! ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ি থেকে ৫ ট্রাঙ্ক বোঝাই টাকা উদ্ধার করল ইডি। সঙ্গে সোনার গয়না ও নথি-পত্র। শেষ হল ম্য়ারাথন তল্লাশি। এদিকে এখনও খোঁজ নেই আমির খানের। কোথায় তিনি? খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সকালে কলকাতা শহরের ৬ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালায় ইডি। ঘড়িতে তখন ৮ বেজে ৩০ মিনিট। গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আধিকারিকরা। বাড়ির খাটের তলায়  ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বেশ কয়েকটি বাণ্ডিল উদ্ধার হয়।  এত টাকা কোথা থেকে এল? ইডি সূত্রে খবর, টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি নিসার। শুরু হয় তল্লাশি। এরপর সময় যত এগিয়েছে, টাকার অঙ্কে ততই বেড়েছে। আনা হয় ৯ টাকা গোনার মেশিন! দিনের শেষে উদ্ধার হল ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা নগদ!



আরও পড়ুন: Garden Reach: বাংলায় আতঙ্কের পরিবেশ!'নীরব মোদী, মেহুল চোকসির টাকা কোথায়'? প্রশ্ন ফিরহাদের


ইডির তরফে জানানো হয়েছে, একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছিলেন ব্যবসায়ী নিসার খানের ছেলে আমির। নাম, ই-নাগেটস। শুধু তাই নয়, ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে সেই অ্যাপে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগও করা হয়েছিল। কেন? ই-ওয়ালেটে টাকা রাখলে কমিশনের টোপ দেওয়া হয়েছিল। বস্তুত, প্রথমদিকে কমিশনের টাকা দিয়ে দেওয়া হত ই-ওয়ালেটে। ফলে যাঁরা বিনিয়োগ করতেন, তাঁরা সহজে ই-ওয়ালেট থেকে টাকা তুলেও নিতে পারতেন। স্বাভাবিক কারণেই এই মোবাইল গেমটির আকর্ষণ বেড়ে গিয়েছিল অনেকেই।


তারপর? হঠাৎ করেই ওই অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুছে ফেলা হয় যাবতীয় তথ্য। এমনকী, ভুয়ো অ্যাকাউন্টে রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় কোটি কোটি! কীভাবে এমনটা হল? ইডি সূত্রে খবর, ২০২১ সালে পার্কস্ট্রিট থানায় প্রথম অভিযোগ দায়ের করা হয় ফেডারেল ব্যাঙ্ক।  তদন্তে গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে হদিশ পাওয়া যায়। তাহলে কি এটা  নিছকই প্রতারণার ঘটনা? সন্দিহান ইডি-র আধিকারিকরা। তাঁদের অনুমান, কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি নিসার খানের কাছে টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)