Garden Reach: বাংলায় আতঙ্কের পরিবেশ!'নীরব মোদী, মেহুল চোকসির টাকা কোথায়'? প্রশ্ন ফিরহাদের
গার্ডেনরিচের কুবেবের ঘাজানা! ব্যবসায়ীর বাড়িতে খাটের নিচে, হাঁড়িতে কোটি টাকা! 'নির্দিষ্ট তথ্য থাকলে, অভিযোগ কর, গ্রেফতার কর। আমাদের কিছু বলার নেই', বললেন রাজ্যের মন্ত্রী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: 'সাত হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে নীরব মোদী, মেহুল চোকসি। তাঁদের হিসেব কোথায়'? প্রশ্ন তুললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 'যে ব্যক্তির খাটের তলা থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেই ব্যক্তি সিন্ডিকেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত', দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের। গার্ডেনরিচকাণ্ডে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
গার্ডেনরিচে কুবেরের খাজানা! ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ি থেকে কত টাকা উদ্ধার? ইডি সূত্রে খবর, নগদ ১৫ কোটি! টাকা রাখা ছিল খাটের তলায়, এমনকী হাঁড়িতেও! ৮ মেশিনে গোনা চলছে এখনও। এত টাকার উৎস কি স্রেফ মোবাইল গেমে প্রতারণা? সন্দিহান ইডি আধিকারিক। তাঁদের অনুমান, কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীর কাছে টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন।
গার্ডেনরিচের যে এলাকা থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকাটি কলকাতা বন্দর বিধানসভাকেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রের বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'যাঁর বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে কেস হবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক? বাংলারইবা কি আছে? বিভিন্ন ব্যবসায়ী ২ কোটি টাকা চুরি করেছে। যেখানে আছে, সেখানে আছে'। মন্ত্রীর দাবি, 'বাংলার একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট তথ্য থাকলে, অভিযোগ কর, গ্রেফতার কর। আমাদের কিছু বলার নেই। এজেন্সি স্বাধীনভাবে তদন্ত করবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কেন থাকবে'? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের অবশ্য দাবি, 'শুধুমাত্র চিনা অ্য়াপে প্রতারণার ঘটনা নয়, যে ব্যক্তির ঘাটের তলা থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেই ব্যক্তি সিন্ডিকেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কাছে নামে-বেনামে তথাকথিত প্রভাবশালী বা প্রভাবশালীদের বিনিয়োগ বা ব্যাঙ্কার আছে'।
আরও পড়ুন: Garden Reach: মোবাইল গেমে প্রতারণা! কোটি কোটি টাকা 'আত্মসাৎ' গার্ডেনরিচের আমিরের
এর আগে, এদিন সকালে কলকাতার ৬ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিক। এরপরই গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ির ঘাটে তলায় ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বেশ কয়েকটি বাণ্ডিল উদ্ধার হয়। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছিলেন ব্যবসায়ী নিসার খানের ছেলে আমির। নাম, ই-নাগেটস। ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে সেই অ্যাপে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগও করা হয়েছিল। কেন? ই-ওয়ালেটে টাকা রাখলে কমিশনের টোপ দেওয়া হয়েছিল। এরপর হঠাৎ করেই ওই অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুছে ফেলা হয় যাবতীয় তথ্য। এমনকী, ভুয়ো অ্যাকাউন্টে রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় কোটি কোটি টাকা!