Partha Chatterjee, SSC Scam: `মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা, সন্তান দত্তকে আপত্তি ছিল না পার্থের`
এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করল ইডি। চার্জশিটে দাবি, অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া গিয়েছে পার্থের নিজের হাতে লেখা চিঠি!
পিয়ালী মিত্র: এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে অবশেষে চার্জশিট পেশ। 'মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। সন্তান দত্তকে আপত্তি ছিল না পার্থের'। চার্জশিটে এমনই দাবি করল ইডি।
একটি টালিগঞ্জে, আর একটি বেলঘড়িয়ায়। দুটি ফ্ল্যাটেই টাকার পাহাড়! পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা নন, এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে এখন জেল হেফাজতে প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। দু'জনের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক কী? ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে ৩৩ টি এলআইসি পলিসির নথি পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি পলিসিরই নমিনি আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়! কিন্তু বিমার নথিতে যিনি পলিসি করেছেন এবং যাঁকে নমিনি করা হয়েছে, তাঁদের সম্পর্ক উল্লেখ থাকে না। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য রহস্যের পর্দাফাঁস হয়। জানা যায়, পলিসির নথিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে 'আঙ্কেল' বলে উল্লেখ করেছেন অর্পিতা!
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, SSC Scam: 'যাতাভাবে টাকা নিচ্ছেন', মানিকের বিরুদ্ধে মেসেজ পার্থের ফোনে!
এদিন এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করল ইডি। চার্জশিটে উল্লেখ, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যখন অর্পিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে কিছু জানি না'। কিন্তু অর্পিতার ফ্ল্য়াট থেকে পার্থের লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেই চিঠিতে লেখা, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যদি সন্তান দত্তক নিতে চান, তাহলে আপত্তি নেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের! প্রাক্তন মন্ত্রীর অবশ্য দাবি, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন লোককে সার্টিফিকেট দেন তিনি। সেরকমই কোনও সার্টিফিকেট দিয়ে থাকতে পারেন'। অর্পিতা সন্তান দত্তক নিতে চাইলে পার্থের সার্টিফিকেটে দরকার হবে কেন? প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে অর্পিতার দুটি ফ্ল্য়াটে যে বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনা পাওয়া গিয়েছে, তার উৎস কী? যখন ইডি-র হেফাজতে ছিলেন, তখন বারবারই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলেন অর্পিতা। দাবি করেছিলেন, টাকা ব্য়াপারে কিছুই জানে না। মাঝে মাঝে কয়েকজন লোক এসে পার্সেল রেখে যেত। কিন্তু সেই ঘরে ঢোকার অনুমতি ছিল না। এমনকী, ফ্ল্যাটে ইডি-র তল্লাশি সময়ে নাকি বাথরুমে ছিলেন! চার্জশিটে ইডি-র দাবি, জেল হেফাজত থাকাকালীন অর্পিতাকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তখন তিনি সাফ জানান, 'উদ্ধার হওয়া ৪৯.৮ কোটি টাকা ও ৫ কোটি টাকার সোনার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি-ই বলতে পারবেন টাকার উৎস। নিজের ও মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে এতদিন সত্য গোপন করেছিলেন'।