জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুজো মিটতেই তৎপর ইডি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডির হানা। সল্টলেকের বিসি ব্লকে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে কাকভোরেই হানা দেয় ইডি। ৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও চলছে জেরা। বাকিবুর যোগেই বনমন্ত্রী রেডারে বলে খবর ইডি সূত্রে। তবে শুধু জ্যেতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে নয়, তাঁর আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডির টিম। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিবেষ্টিত হয়ে কাকভোরেই অপারেশনে বের হয় ইডির ৮ টিম। ইডি সূত্রের খবর, ধৃত চালকল মালিককে জেরা করেই ক্লু মিলতেই মন্ত্রী ও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েটদের বাড়িতে হানা এজেন্সির। স্ক্যানারে জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত সহায়ক অমিত দে-ও। নাগেরবাজারের স্বামী বিবেকানন্দ রোডে অমিত দে-র জোড়া ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছে এজেন্সি। পাশেই নাগেরবাজারে ভগবতী পার্কেও অমিত দে-র আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানেও হানা দিয়েছে ইডি। যদিও সেই ফ্ল্যাটটি অমিত দে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৩টি ফ্ল্যাট-ই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ইডির ৩টি গাড়ি নাগেরবাজারে পৌঁছয়। নাগেরবাজারের বিবেকানন্দ রোডে 'ভালোবাসা' অ্যাপার্টমেন্টের তৃতীয় তলে 3FC ও 3BA ফ্ল্যাট দুটি অমিত দে-র। বছর তিনেক আগে দুটি ফ্ল্যাট-ই একসঙ্গে কেনেন অমিত দে। এর পাশেই ভগবতী পার্কে 'পারুল' অ্যাপার্টমেন্টে অমিত দে-র আরও একটি ফ্ল্যাট। যা কিনা তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এই ৩টি ফ্ল্যাটেই একযোগে তল্লাশি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা ছিল ইডির। কিন্তু ৬ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে পারেনি ইডি।  কারণ, 'ভালোবাসা' অ্যাপার্টমেন্টের যে ফ্ল্যাটে অমিত দে থাকেন, সেখানে তিনি বা তাঁর পরিবারের সদস্য কেউ-ই নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত দে তাঁর পরিবারকে নিয়ে একটি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছেন। এখন ইডি আধিকারিকরা অমিত দে-র ফিরে আসার অপেক্ষায় ফ্ল্যাটের বাইরেই অপেক্ষা করছেন। যাতে অমিত দে ফিরলে, তাঁর উপস্থিতিতে তালা খুলে ফ্ল্যাটে ঢুকে তাঁরা তল্লাশি অভিযান চালাতে পারেন। ওদিকে যদি অমিত দে আজকে না ফেরেন, তবে কী করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা করছেন আধিকারিকরা। 


জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক আগে কলেজ স্ট্রিটে থাকতেন। তখন তাঁর পুরনো ব্যবসা ছিল বুক বাইন্ডিংয়ের। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে তাঁর প্রভাবপ্রতিপত্তি বাড়ে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে সম্পত্তিও। ৩টি ফ্ল্যাট ছাড়াও রয়েছে একটি রিসর্ট। এছাড়াও তাঁর আরও সম্পত্তি রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে এদিন অমিত দে-র বন্ধু রনি দে-র বেলেঘাটার বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিতেও নজর ইডির। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সামনে আসে রেশন দুর্নীতি। যে দুর্নীতির জাল বহুদূর বিস্তৃত। সেই রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। FCI বা ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে বাকিবুরের রাইস মিলে আসত গম। ডিস্ট্রিবিউটরদের তারপর কম পরিমাণে গম দেওয়া হত। কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ গম সরিয়ে রাখা হত। সেগুলো কালোবাজারে বিক্রি করা হত। গম চুরি করে বিক্রির সেই বেআইনি টাকা সাইফন করা হয়। সেই কালো টাকাতেই স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তোলে বাকিবুর। এখন সেই দলে আর কে কে আছে, কাদের কাদের মধ্যে রেশন দুর্নীতির টাকা সাইফন হয়েছে, তারই সন্ধানে ইডি।


আরও পড়ুন, Durga Puja: ফের রাজ্যপালের 'দুর্গারত্ন' প্রত্যাখান, লুমিনাসের পথেই হাঁটল টালা প্রত্যয়



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)