নিজস্ব প্রতিবেদন : আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ কয়েকজন পিএফ অফিসারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে কলকাতার ছয় জায়গায় তল্লাশি চালাল ইডি। পিএফ অফিসের পাশাপাশি অফিসারদের বাড়িতেও হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। উদ্ধার করা হয় প্রচুর নথি। বাজেয়াপ্ত করা হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘড়িতে সকাল আটটা। বেহালার ৪৬-এর বি এস এন ব্যানার্জি রোডে পিএফ-এর অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার রমেশচন্দ্র সিংয়ের বাড়িতে হাজির হন ইডি অফিসাররা। ঘরে ঢুকে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয় নথিপত্র। বাজেয়াপ্ত হয় বেশকিছু নথি। অন্যদিকে, ততক্ষণে ইডি আধিকারিকদের আরেকটি দল ঢুকে পড়েছে পার্ক স্ট্রিটের ইপিএফ অফিসে। সেখানেও শুরু হয় তল্লাশি। অসংখ্য নথি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজ বাজেয়াপ্ত হয়।


বেলা বাড়তেই বোঝা যায়, আটঘাঁট বেধেই হানা দিয়েছে ইডি। একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে কলকাতার মোট ছয় জায়গায়। বারুইপুর-চারুমার্কেটেও পিএফ-এর বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু, আচমকা কেন হানা? হানার কারণ বুঝতে পিছিয়ে যেতে হবে বছরখানেক আগে। ২০১৭-র অগাস্টে ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন পার্কস্ট্রিটের পিএফ অফিসের ম্যানেজার সমীরণ ঘোষ। সমীরণ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা।


আরও পড়ুন, 'মমতার উজ্জ্বল বাংলায় ৫ কিমি হেঁটে জল আনেন মা-বোনেরা', খোঁচা অমিতের


তদন্তে সমীরণের পাশাপাশি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় আরও কয়েকজন পিএফ অফিসারের। সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আর্থিক দুর্নীতির পিছনে রয়েছে বড়সড় চক্র। বোঝা যায়, পিএফ অফিসগুলিতে বড়সড় আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। যা ঢুকেছে কয়েকজন অফিসারের পকেটে। দুনীর্তির পাশাপাশি, আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শুরু করে ইডি-ও। সেই সূত্রেই এদিন রাজ্যের ৬ জায়গায় তল্লাসি চালাল ইডি।