Mid Day Meal Scam: `মিড-ডে মিলে ১০০ কোটির নয়ছয় নয়, বরং প্রায় ১৯ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে রাজ্য`!
মিড-ডি মিলেও দুর্নীতি? কেন্দ্রের রিপোর্টে উল্লেখ, ১০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য! এবার পাল্টা টুইট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: '১০০ কোটি টাকা নয়ছয় তো দূর অস্ত, রাজ্য সরকার ওই একই সময়ে এই প্রকল্পে ১৮.৮ কোটি টাকার সাশ্রয় করেছে'! কেন্দ্রের মিড-ডে মিল রিপোর্ট নিয়ে এবার টুইট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর প্রশ্ন, 'অযথা চায়ের কাপে তুফান না তুলে জে.আর. এম-র মাননীয় চেয়ারপার্সন কী এই নজিরবিহীন অপদার্থতার যোগ্য জবাবদিহি করবেন অনুগ্রহ করে'?
ঘটনাটি ঠিক কী? বাংলায় মিড-ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রসাদকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রের যৌথ পর্যালোচনা মিশন (JRM)। এই প্রকল্পের পোশাকি নাম, পিএম পোষণ।
২৪ মার্চ রিপোর্ট জমা দিয়েছে যৌথ পর্যালোচনা মিশন (JRM)। রিপোর্টে উল্লেখ, রাজ্য সরকার জানিয়েছিল বিভিন্ন স্তরে স্কুলে এনরোল করা পড়ুয়াদের গড়ে ৯৫ শতাংশকে মিড ডে মিল দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, স্কুলগুলিতে মাত্র ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ পড়ুয়া প্রতি বছরে এই মিড ডে মিল নেয়। শুধু তাই নয়, প্রায় ১৫ কোটি মিল বেশি সার্ভ করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে! আর তাতেই খরচ হয়ে গিয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি!
এর আগে, যেদিন রাজ্যের মিড-ডে সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল, সেদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। বসেছিলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার মিড-ডে মিল নিয়ে অসহযোগিতা করছে। রিপোর্ট আমাদের না পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ দেওয়া হয়েছে। এই টিমটাকে কেন্দ্র টিম বলে মনে হচ্ছে না, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল'। তাঁর পাল্টা দাবি, 'গণমাধ্য়মে ত্রুটিপূর্ণ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আসলে ওরা ত্রুটি পাননি, ত্রুটি খুঁজতে এসেছিলেন। প্রথমে সবই ভালো লেগেছিল, কিন্তু সেটা বিজেপি নেতাদের পছন্দ হয়নি। এই রিপোর্ট বিজেপি অফিসে বসেও লেখা হয়ে থাকতে পারে'।