নিজস্ব প্রতিবেদন- বুধবার রাতে একবালপুর থানার এমএম আলি রোডে বস্তাবন্দি অবস্থায় ২২ বছরের যুবতী সাবা খাতুনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে এলাকায় নয়না নামে পরিচিত যুবতীকে। ওয়ারশি লেন এলাকায় রেশমা নামে এক বন্ধুর বাড়িতে গত দুমাস ধরে থাকছিল সাবা। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইল ফোনও সুইচড অফ ছিল। পরে তাঁর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। সবার প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁর বস্তাবন্দি দেহ দেখতে পান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। আত্মীয়স্বজনদের দাবি ছিল, সাবা দিনের বেশিরভাগ সময়ই নেশাগ্রস্থ থাকতেন। মাসছয়েক নেশামুক্তি কেন্দ্রেও তাঁকে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তার সঙ্গে কি খুনের কোনও যোগাযোগ রয়েছে! কে বা কারা, কেন খুন করল ওই যুবতীকে! একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমেছে পুলিস। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারের খবর নেই। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চারজনকে। এদের মধ্যে দু'জন রোহিত ও ইমরান। এমএম আলি রোডের যে ফুটপাথ থেকে সাবার বস্তা বন্দি দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানেই থাকে রোহিত। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শেষবারের মতো রোহিতের সঙ্গেই ফোনে কথা হয়েছিল সাবার।  তাঁদের সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিল সাবা। 


আরও পড়ুন-  একবালপুরে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার: শ্বাসরোধ করেই খুন তরুণীকে, উল্লেখ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে


সাবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিস। কিন্তু এর বেশি আর কিছুই পাওয়া যায়নি। কারণ যেখান থেকে বডি উদ্ধার হয়, সেই জায়গাটি অন্ধকার ছিল। এবং সেখানে সিসিটিভির কোনও ফুটেজ পাননি তদন্তকারীরা। সূত্র মারফত এসব তথ্য জানা গিয়েছে। তবে সরকারিভাবে কোনও পুলিস কর্তাই এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। পুলিসের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এলাকায় যে সমস্ত সিসিটিভি রয়েছে, তা অধিকাংশই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে।মৃতের পরিবারের লোকজন জি ২৪ ঘন্টার ক্যামেরার সামনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়, সেখানকার ল্যামপোস্টের আলো আগেভাগেই নিভিয়ে ফেলা হয়েছিল।