ওয়েব ডেস্ক: উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি পারেন না, এমন কাজ আছে নাকি! সব পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! দিদিমণির একটা ফোনেই আটকে গেল দেবী দুর্গার কৈলাস গমন। যেন ঠিক 'মেঘে ঢাকা তারা'র সেই ঐতিহাসিক সংলাপ। ঋত্বিক কুমার ঘটক দুর্গাকে বলছেন, "যেতে নাহি দিব আজ"। মণ্ডপ থেকে বেরিয়েও গিয়েছিলেন, গাড়িতে করে রওনাও হয়েছিলেন, মমতার একটা ফোনেই থমকে গেল দেবীর নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা। শেষে সপরিবারে দেবী দুর্গা হোল নাইট রাস্তায়ই দাঁড়িয়ে। শুক্রবার রেড রোডে হাজিরা দিয়েই ফিরবেন কৈলাসে। 



একডালিয়া এভারগ্রিন। কলকাতার সনামধন্য পুজোগুলোর মধ্যে একটি। শুক্রবারের ব্র্যান্ড বাংলায় কি না নাম নেই এই এভার গ্রীন পুজোরই! রেড রোডের চলমান প্রদর্শনীতে নামই ছিল না মন্ত্রী সুব্রত মুখ্যপয়াধ্যায়ের পুজো হিসেবে পরিচিত একডালিয়া এভারগ্রিনের। রেড রোডের কোনও সরকারি নিমন্ত্রণও আসেনি। তাই সব নিয়ম মেনেই লক্ষীবারে দুর্গা বিদায়ে মেতেছিল গোটা পাড়া। ঢাক, ঢোল পিটিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে উমা চললেন। কেউ জানতেনই না, বৃহস্পতিবার বিসর্জন হবে না। হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। 'সুব্রত দা, শুক্রবারের শোভাযাত্রায় একডালিয়া আসুক রেড রোডে'। কথা ফেলতে পারেননি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেপূরণ করতেই শুক্রবার রেড রোডে যাবে একডালিয়া এভারগ্রিনের প্রতিমা। তারপর বিসর্জন। তবে বাংলার ইতিহাসে এটা প্রথমবার, কোনও প্রতিমা মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে বিসর্জন না হয়ে সারা রাত খোলা আকাশের তলায় দাঁড়িয়ে থাকল। সৌজন্যে...