একুশের ভোটের আগে প্রার্থীদের `হাতখরচ` বাড়িয়ে দিল কমিশন
`যেকোনও সময়ে নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হতে পারে`।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা (Assembly Election) ও লোকসভা ভোটে (Loksabha Election) প্রার্থীদের খরচের উর্ধ্বসীমা আরও বাড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী পিছু খরচের উর্ধ্বসীমা এতদিন ছিল ২৮ লাখ টাকা। এবার তা বেড়ে হল ৩০ লাখ। আর লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে টাকা অঙ্ক ৭০ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৭৭ লাখ। প্রার্থীদের খরচের পরিমাণ আরও বাড়ানো যায়, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটিও (Expert Committee) গঠন করেছে কমিশন। তবে শর্ত একটাই, নগদের বদলে ভোটের সময়ে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যাবতীয় খরচ করতে হবে প্রার্থীদের। সূত্রের খবর তেমনই।
একুশের ভোটের আগে রাজনীতির উত্তাপে ফুটছে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিনটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যেকোনও সময়ে নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হতে পারে! নির্বাচন কমিশন তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে পুলিস ও প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরে ফেলেছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। আগামী ৫ ফ্রেরুয়ারি অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গেও বৈঠক হবে। কারণ, ভোটের আগে বাংলায় পুলিস আধিকারিকদের বদলি, বুথের পরিকাঠামো ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, এইরকম কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের মতো বিষয়ে কমিশন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: মার্চে BJP ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী Modi?
কমিশন সূত্রে খবর, এর আগে জেলাশাসক-সহ জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সেই বৈঠকে বুথে বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জল, ভোটারদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো সম্পর্কে ১০ ফ্রেরুয়ারির মধ্য়ে কমিশনে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কোভিডের কারণে এবার রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কমিশনের নির্দেশ, গত নির্বাচনের সময় একতলায় ছিল, এমন ২৯৫০টি বুথকে নিচের তলায় নামিয়ে আনতে হবে। ভোটের প্রস্তুতিতে বাদ যাচ্ছে না আমফানও! ঘুর্ণিঝড়ে যেহেতু দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ কয়েকটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা সবকটি বুথকেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাখার পরিকল্পনা করেছে কমিশন। ভোটের মুখে যথারীতি রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারিও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।