ওয়েব ডেস্ক: মদনে এবার আরও কঠোর কমিশন। হাসপাতালেই নিষেধাজ্ঞার জালে বন্দি ভবানীপুরের বড়দা। পরিবারের সদস্যরা ছাড়া আর কেউ এসএসকেএমে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে পারবেন না মদন মিত্র। আজ থেকেই লাগু এই নিয়ম-নিষেধাজ্ঞা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিরোধীদের অভিযোগের সুর চড়ছিল আগে থেকেই। ভবানীপুরে ভোটের আগে তাঁরই খাসতালুকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি মদন মিত্র। সেখানে বসে তিনি ভোট কন্ট্রোল করবেন। দাবি করেন বিরোধীরা। তাঁদের লাগাতার অভিযোগের মুখে, শেষপর্যন্ত ভোটের আগেই এনিয়ে সক্রিয় কমিশন। হাসপাতালে থাকলেও, কড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখা হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। পরিবারের সদস্যরা ছাড়া আর কেউ এসএসকেএম হাসপাতালে মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি। পরিবারের সদস্যদেরও মোবাইল বাইরে রেখেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতে হবে। 


কমিশনের এই নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্রসচিব হাতে পাওয়ার পরই, তা এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রবল শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথার অভিযোগ নিয়ে,  ২৬ এপ্রিল আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি মদনকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, ভবানীপুরে ভোট কন্ট্রোল করতেই অসুস্থতার অজুহাত খাড়া করে হাসপাতালে এসেছেন মদন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস, সিপিএম এবং শুক্রবার বিজেপি, সবাই কমিশনে গিয়ে একই অভিযোগ জানিয়ে আসে। এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল কামারহাটিতে ভোটের দিনও জেলে বসে কার্যত দিনভর নজরবন্দিই থাকতে হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থীকে। একেবারে শুরু থেকে ভোট মেটা পর্যন্ত, ডেপুটি জেলর এবং দুজন সিপাই ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। এবার হাসপাতালে থাকলেও, কার্যত বন্দিই মদন।