নিজস্ব প্রতিবেদন: শহরের পথে দূর্ঘটনা। প্রাণ হারালেন মাত্র ২৩ বছরের ঋষভ মণ্ডল। গায়ে আকাশি নীল রঙের জামা। কাঁধে তখনও ঝুলছে ব্যাগ। রাজভবনের সামনে হাঁটু সমান জলের মধ্যে পড়ে গিয়ে ছটফট করছেন এক যুবক। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে পড়লেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজভবনের সামনে এমনই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখলেন পথচারীরা। বেঘোরে মৃত্যু হল কলকাতায় হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের ইঞ্জিনিয়ারের। মঙ্গলবার শহরে ঘণ্টাখানেকের ভারি বৃষ্টিতে বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। রাজভবনের সামনে ছিল প্রায় হাঁটু পর্যন্ত জল। ফলে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায় সেখানে। সেখান দিয়েই যাচ্ছিলেন ঋষভ। সেইসময়ই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:রাজ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, একদিনে ২০ হাজার পেরিয়ে গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা



খবর পেয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ তুলে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে খবর পৌঁছতেই ফারাক্কায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঠিক সেই সময় প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরে ফরাক্কার এনটিপিসি নবারণ এলাকায় তখন শুধুই নিস্তব্ধতা। খবর পেয়েই ঋষব মন্ডলের মা ভেঙে পড়েন, মাটিতে শুয়ে শোকে কাতরাতে থাকেন তিনি।ছেলের মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছেন না ঋষভের বাবা-মা।  ঋষভের বাবার অভিযোগ, এই ঘটনায় পুরোপুরি তদন্তের হওয়া প্রয়োজন। পরিবারের দাবি- এত বড় ভুল কি করে হয় যে শহরে রাস্তায় কি ভাবে ইলেক্ট্রিকের তার ছিঁড়ে পরে থাকে। আঙুল তোলেন সরকারি দপ্তরের উপর। স্ট্রিট লাইটের পোল, তাতে খোলা তার, নাকি বৃষ্টির জল জমে পুরো জলেই বিদ্যুৎ, কলকাতায় যখন দায় নিয়ে ঠেলাঠেলির পালা।


আরও পড়ুন:গোঁসা করে কলম ধরলেন অমিতাভ, দিলেন করোনায় গত ১ বছরে দানের খতিয়ান


ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামে চাকরি করত ঋষভ। অফিস ছুটির পর সাড়ে সাতটার মধ্যেই বাড়ি ফিরতেন ঋষভ। কিন্তু মঙ্গলবার আর ফিরলেন না বাড়িতে। ফেরা হল না ফরাক্কার বাড়িতে বাবা-মার কাছেও। সঠিক তদন্ত চান ঋষভের বাবা, কার দোষে প্রাণ হারাতে হল তেইশ বছরের ঋষভকে, উত্তর খুঁজছে পরিবার।