জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা নিট নিয়ে নাজেহাল কেন্দ্র। চাপের মুখে নিট পিজিও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আজ সংসদে অধিবেশের প্রথম দিনেই নিট নিয়ে হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায়। এরকম এক পরিস্থিতিতে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার ভার রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি নিট বাতিলের দাবিও করলেন ওই চিঠিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাইরের মানুষ আসছেন, টাকা নিয়ে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, রাজ্যের আইডেনটিটি বদলে যাচ্ছে, তীব্র ক্ষোভ মমতার


ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা নিত রাজ্য সরকার। ২০১৭ সালের পর তা উঠে যায়। ডাক্তারিতে ভর্তির গোটা প্রক্রিয়াটাই চলে যায় কেন্দ্রের হাতে। একমাত্র নিট-এর মাধ্যমেই ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে মমতা লিখেছেন, একজন চিকিত্সকের লেখাপড়া ও ইন্টানশিপের জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয় গড় ৫০ লাখ টাকা। তাই ডাক্তারিতে ভর্তির অধিকার রাজ্যের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হোক। নিট-এর মাধ্যমে ভর্তির যে ব্যবস্থা তা স্বচ্ছ নয় বলেই অভিমত মমতার। এর মাধ্যমে বড়লোকের ছেলেরাই লাভবান হচ্ছে। পিছিয়ে পড়ছে গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা। রাজ্যের হাতে ডাক্তারিতে ভর্তির ভার ছেড়ে দিলে পরীক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। অশান্তি কমবে। নিটের মাধ্যমে ভর্তির যে ব্যবস্থা হয়েছে তাতে রাজ্যগুলির কোনও অধিকার থাকছে না বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা।


উল্লেখ্য, এবার নিটে ৬৭ জন পুরো মার্কস অর্থাত্ ৭২০ পেয়েছেন। কীভাবে এমনটা সম্ভব হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। হরিয়ানার ঝাঁঝরের একটি সেন্টার থেকে ৮ জন পুরো নম্বর পেয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে সময় কম দেওয়ার জন্য গ্রেস নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা। তাতেও আপত্তি তুলেছে বিভিন্ন মহল। এনিয়ে মামলাও হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।



এদিকে, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠিছিল নিটে। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে বিহার,উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র থেকে অনেকে ধরা পড়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে ৩০-৩২ লাখ টাকার বিনিময়ে নিটের প্রশ্ন ফাঁস করা হয়। কোথাও পরীক্ষার ২ দিন আগে, কোথাও আগের রাতে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়। উতর মুখস্ত করে পরদিন পরীক্ষা হলে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। সবেমিলিয়ে পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে এমডি, এমএস-এ ভর্তির পরীক্ষাও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।


ডাক্তারিতে ভর্তি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, প্রশ্ন ফাঁস, ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। এরকম পরিস্থিতিতে লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর মেডিক্যালে ভর্তির স্বপ্ন ধাক্কা খেয়েছে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)