শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়। 'বিধানসভায় পাস হওয়া আচার্য বিলে কেন সই নয়  আচার্য তথা রাজ্যপালের'?  এবার আইনি লড়াইয়ের পথে রাজ্যের প্রাক্তন উপাচার্যদের সংগঠন এডুকেশন ফোরাম। আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়়ুন:  Abhishek Banerjee: জনসংযোগ, পুজো উদ্বোধনে এবার অভিষেক...

ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যপাল নন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করতে বিধানসভায় বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।  ভোটাভুটিতে সেই বিল পাসও হয়ে যায়। পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৭, আর বিপক্ষে ৫৫। কবে? ২০২২ সালে জুনে।


এদিকে যেদিন বিধানসভায় পাস হয়, তার পরের দিনই নিয়মাফিক বিলটি রাজ্যভবনে পাঠিয়ে দেয় রাজ্য় সরকার।  এখন রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই, আইনে পরিণত হবে বিলটি। কিন্তু তেমনটা তো হয়ইনি, বিলটি ফেরতও পাঠাননি রাজ্যপাল।


এদিন এডুকেশন ফোরামের তরফে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, 'আমার মেনশন করব। প্রস্তুতি নিচ্ছি, আলাপ-আলোচনা করছি। এখানে আমি কী বলছি, আমরা কী বলছি, সেটা নয়। সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারা কী বলছে? সেটা রাজ্যপালকে আমরা আর একবার স্মরণ করিয়ে দিলাম'।



আরও পড়ুন:  Mamata Banerjee: সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস-বিতর্ক, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?


কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'দেশের সাংবিধানিক ব্য়বস্থা অনেক  চিন্তা-ভাবনা করেই তৈরি করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না রাজ্য়পাল সই করছেন, বিলটা আইনে রূপায়িত হবে না'। তাঁর দাবি, 'এই মুহুর্তে যদি পশ্চিমবঙ্গে গণভোট হয়, আশি শতাংশ মানুষ, এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসেরও মানুষ এই ব্য়বস্থা বিপক্ষে ভোট দেবেন। যে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটার, সমর্থকের পরিবারের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্য়ালয়ে যান, তাঁরাও তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মে স্বার্থে চাইবে না যে,শিক্ষায় চূড়ান্ত দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়।  এই ধরনের কোনও বিলে সই করবে কিনা, রাজ্য়পাল ভেবে দেখবেন'।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)