নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় দ্বিতীয় করোনাআক্রান্তের হদিস মিলতেই চূড়ান্ত সাবধানতা নেওয়া হচ্ছে সর্বত্র। দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত ফ্ল্যাটের বাসিন্দা সম্প্রতি লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক দাঁনা বেধেছে ফ্ল্যাটের বাকি বাসিন্দাদের মধ্যে। অভিজাত ফ্ল্যাটে পৌঁছে গিয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। চলছে জোরকদমে স্যানিটাইজেশনের কাজ। মাইকিংয়ের মাধ্যমে আপাতত ফ্ল্যাট ও আশেপাশের এলাকায় ভিড় না করার আবেদন রাখা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কলকাতায় দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি বালিগঞ্জের যুবক


ফ্ল্যাটের মধ্যেও কোনওরকম ভিড় করতে নিষেধ করা হয়েছে। কী পরিস্থিতি ফ্ল্যাটের, তুলে ধরেছেন আমাদের প্রতিনিধি। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীর সাবধানবানী- স্যানিটাইজেশনের কাজ চললেও ঝুঁকি মুক্ত নয় আবাসনটি। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত তরুণের বৃদ্ধ দাদু দিদাকে রাজারহাটে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে আক্রান্তের বাবা ও মা। বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত তরুণ। তিন সহপাঠীর সঙ্গে ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন তিনি। বাকি দুই সহপাঠী, চন্ডীগড় ও ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা। তাদেরও করোনার রিপোর্ট পজিটিভ ধরাপড়েছে।


তবে অভিযোগ, এর মাঝের ৪ দিন শহরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন বালিগঞ্জের তরুণ। যেদিন শহরে ফিরে আসেন, সেদিন আবাসনের ভিতর সে ঘুরে বেড়ান বহাল তবিয়তে। একাধিকবার আবাসনের গেটের উল্টোদিকের চায়ের দোকানে গিয়ে আড্ডাও দেন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, কালিঘাটের দু'নম্বর ঈশ্বর গাঙ্গুলী স্ট্রিটে নিজেদের পৈত্রিক দোকানেও পরপর দু'দিন গিয়েছিলেন তরুণ। এছাড়াও , ১৪০ নম্বর এস পি মুখার্জি রোডের দোকান বা ব্যবসার জায়গাতে একাধিকবার গিয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত তরুণ।