নিজস্ব প্রতিবেদন : পাকিস্তানের প্রতারণা চক্রের জাল এরাজ্যে। লটারিতে টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ। এমনই চক্রের হদিশ মিলল চিনার পার্কে। পুলিসের জালে ধরা পড়ল দুই ব্যবসায়ী। কতদূর বিস্তৃত এই জাল? হাপিস হয়ে যাওয়া টাকা কি যেত জঙ্গিদের হাতেও?  প্রশ্নের উত্তর এখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন তদন্তকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, হঠাতই ফোন বা হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ আসত। +৯২ দিয়ে শুরু নম্বর থেকে আসত মেসেজ। মেসেজে লেখা থাকত, আপনি  পঁচিশ লক্ষ টাকা জিতেছেন। জেতা টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে  শুধু প্রসেসিং ফি দিতে হবে। কোন অ্যাকাউন্টে সেই  প্রসেসিং ফি দিতে হবে, নির্দিষ্ট সেই  অ্যাকাউন্ট নাম্বারও দেওয়া থাকত।


ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকাটা পড়ার অপেক্ষা মাত্র। তারপরই ফাঁদ একদম আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলত।  হ্যাক হয়ে যেত অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্ট একদম সাফ হয়ে যেত মুহূর্তে।  হাওয়ালার মাধ্যমে সেই টাকা চলে যেত পাকিস্তান আর দুবাইয়ে।  এধরনের প্রতারণার প্রথম অভিযোগ জমা পড়েছিল হাওড়া গোলাবাড়ি থানায়। সূত্র ধরে এগোতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এল বেড়াল।


আরও পড়ুন, ওড়িশার নম্বর প্লেট, বার বার গাড়ি বদল, সিবিআইকে ধোঁকা দিতে ছক শ্রীকান্ত মোহতার


পুলিস জানিয়েছে, চিনার পার্কের বেসরকারি সংস্থার অফিসে বসেই চলত যাবতীয় কুকর্ম। পুলিসের ফাঁদে ধরা পড়েছে রাজেশ ঘোষ ও বিধান কীর্তনিয়া নামে দুই ব্যবসায়ী। পুলিস সূত্রে খবর, রাজ্যের কমপক্ষে ৪০ জন এভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অফিসের বাইরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ এখন অন্যতম ভরসা তদন্তকারীদের। এই চক্রে কি জড়িয়ে শহরের এই দুই ব্যবসায়ী? নাকি পিছনে রয়েছে আরও অনেকে? সেই উত্তরই খুঁজছেন তদন্তকারীরা।


তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, প্রতারকদের টার্গেট এখন বড় টাকা যাঁরা লেনদেন করেন, তেমন ব্যক্তিরা। কারণ, অনেক লেনদেনের মধ্যে যাতে ওই টাকাটাও পাচার হয়ে যায়, সেটাই প্রতারকদের উদ্দেশ্য। আগে এধরনের প্রতারণা ক্ষেত্রে টার্গেট করা হত, যাঁরা ছোট টাকার লেনদেন করতেন তাঁরা।



প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি এগরা থানার অধীনেও এরকমই লটারি সংক্রান্ত প্রতারণার একটি অভিযোগ জমা পড়ে। তারপরই রাজ্যের মানুষকে সতর্ক করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিআইডি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে এধরনের কোনও মেসেজ এলে তা সিআইডিকে জানানোর জন্য ৩টি নাম্বার দেওয়া হয়।