ওয়েব ডেস্ক: বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে নকল ওষুধ। আসলের ভিড়ে হুবহু এক। বোঝার উপায় নেই। তদন্তে জানল পুলিস। দুই ওষুধ জালিয়াতকে জেরায় মিলেছে আরও চাঞ্চল্যকর সূত্র। মরা ওষুধকে জ্যান্ত করার বরাত নাকি দিত দুই নামী ওষুধ কোম্পানি। ধৃত পবন ঝুনঝুনওয়ালা এবং রিনেশ সারোগির ১৮ মার্চ পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মরা ওষুধকে বাঁচানো। এবং সেই ওষুধ খাইয়ে মানুষকে মারার বন্দোবস্ত। ক্যানিং স্ট্রিটে ছাপাখানার আড়ালে সাজানো ব্যবসায় আপাতত তালা। জালে দুই প্রতারক। যদিও তদন্তকারীরা বলছেন, সাপের বিষদাঁত এখনও ভাঙা যায়নি। তার হদিশ মিলেছে।


পুলিসের দাবি, ধৃতদের জেরায় মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুই ওষুধ তৈরির কোম্পানির নাম নিয়েছে ধৃতেরা। ওই দুই কোম্পানিই বরাত দিয়ে মরা ওষুধকে জ্যান্ত করাত বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় তারিখ বদলে বাতিল ওষুধ বাজারে ছাড়া হয়েছে বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা।


শুধু দুই কোম্পানি নয়। ডিস্ট্রিবিউটাররাও তারিখ বদলের বরাত দিত বলে জেরায় জানিয়েছে দুই অভিযুক্ত। রীতিমতো আশঙ্কাজনক তথ্য। রাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ। আসলের ভিড়ে লুকিয়ে নকল। বোঝার উপায় নেই। সেগুলি খুঁজে বের করা খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতোই কঠিন।



তবে, ধৃতদের জেরা করে কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ৩টি অতি পরিচিত ওষুধের তারিখ বদলে ফের বাজারে ছাড়ার তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। নিশ্চিতভাবে জানা গেছে ৩ টি ওষুধের নাম। সেগুলি হল, Qutes Fortes, Antibact-CV এবং PODIX-CV


Qutes Fortex ব্যবহার করা হয় স্ত্রীরোগ নিরাময়ে। অ্যান্টিব্যাক্ট CV অ্যান্টিবায়োটিক। শ্বাসনালীর সংক্রমণ, গনোরিয়া, নিউমোনিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। তবে এর সাইড এফেক্টে হতে পারে কোলাইটিসের মতো মারাত্মক অসুখ।


পোডোক্স CVও অ্যান্টিবায়োটিক। টাইফয়েড ও ব্যাক্টিরিয়া সংক্রমণে ব্যবহার করা হয়। সাইড এফেক্টে বমি, অ্যালার্জি হতে পারে। আর কোন কোন ওষুধের জালিয়াতি হয়েছে? তা জানতেই আজ ফের হাওড়ায় হোলসেলার রিনেশ সারোগির গোডাউনে হানা দেয় পুলিস।


ধৃতদের জেরাতেই মিলবে বিষবৃক্ষের শিকড়ের সন্ধান। নিশ্চিত তদন্তকারীরা। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে দুজনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। (আরও পড়ুন- মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের স্ট্রিপে বসছে নতুন তারিখ, কলকাতার বুকেই চলছে রমরমিয়ে কারবার)