ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে পুলিসের জালে আরও এক, গ্রেফতার দেবাঞ্জনের অফিসের কর্মচারী
সিটি কলেজে ভুয়ো ক্যাম্প আয়োজনে ধৃতের ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো টিকা কাণ্ডে পুলিসের জালে আরও এক। ধৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ শাউ, বয়স ৪৬। ট্যাংরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দেবাঞ্জনের অফিসের কর্মচারী ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আমহার্স্ট্র স্ট্রিট সিটি কলেজে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প আয়োজনে দেবাঞ্জন দেবের পাশাপাশি, ধৃতেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো ভ্য়াকসিন কাণ্ডে আমহার্স্ট্র স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর-এ ধৃত ইন্দ্রজিৎ শাউয়ের নাম ছিল। অনেক দিন ধরেই তার খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার আগাম খবর পেয়ে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের কাছে পৌঁছে যায় বিশেষ তদন্তকারী দল। সন্ধে সাড়ে ৫টা নাগাদ সেখান থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৭১, ৪৭৪, ৪১৯, ৪২০, ১৭০ এবং ১২০বি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিসের অনুমান, ধৃতের মদতেই সিটি কলেজে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প আয়োজন করেছিল প্রতারক দেবাঞ্জন দেব। এছাড়া, আর অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, ধৃতকে জেরা করে সেই খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনকাণ্ডের পর পুর ভবনে যাতায়াতে ১৩ দফা বিধিনিষেধ জারি কলকাতা পুরসভার
আরও পড়ুন: বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে BJP বিধায়কদের পাশেই বরাদ্দ Mukul-র আসন, বসলেনও সেখানে
দেবাঞ্জনের প্রতারণার কাজের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার হন দেবাঞ্জন দেবের নিরপাত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য। সোনারপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসের অভিযোগ, দেবাঞ্জনের ছায়াসঙ্গী ছিলেন ধৃত অরবিন্দ বৈদ্য। প্রতারকের সমস্ত কুকীর্তি জানতেন তিনি। বিভিন্ন অনৈতিক কাজে প্রতারককে সাহায্যও করেছেন। এমনকি, সোনারপুরে যে ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প হয়েছিল, সেটি আয়োজনেও অরবিন্দ বৈদ্যের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। ফলে তদন্তের স্বার্থে অরবিন্দ বৈদ্যকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে গ্রেফতার হয়েছেন দেবাঞ্জনের কসবার অফিসের মালিকও।