নিজস্ব প্রতিবেদন : ডেথ সার্টিফিকেট নেই। তাই ৬ ঘণ্টারও বেশি ফুটপাথে পড়ে বৃদ্ধার দেহ। বসে রয়েছেন পরিবারের লোকজন। দাহ করতে পারছেন না তাঁরা। এই ছবি কোনও প্রত্যন্ত গ্রামের নয়। একেবারে খাস কলকাতার। টালিগঞ্জ থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ফুটপাতের উপর চোখে পড়ল এমনই ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টালিগঞ্জ থানার কাছেই ফুটপাথের উপর থাকতেন বছর আশির গৌরী মণ্ডল। মৃতার পরিজনরা জানিয়েছেন, দিনকয়েক আগে বছর আশির গৌরী মণ্ডলকে কালীঘাট লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। এরপর আজ সকালে তাঁকে আবার সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।



পরিবারের দাবি, সঙ্গে সঙ্গেই কালীঘাটের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় গৌরী মণ্ডলকে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসাবে ম্যালেরিয়ার কথা জানান চিকিত্সকরা। কিন্তু তাদের কোনও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ডাক্তার মুখে বলে দেয় ম্যালেরিয়া এবং শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে গৌরী মণ্ডলের।


পরিবারের অভিযোগ, ডেথ সার্টিফিকেট না মেলায় বিপদে পড়েছেন তাঁরা। দেহ দাহ করতে পারছেন না। সকাল থেকে তাই দেহ আগলে ফুটপাথের উপরই বসে রয়েছেন। মৃতার জামাই বলেন, "মুখে বলে ছেড়ে দিয়েছে। কোনও ডেথ সার্টিফিকেট দেয়নি। বলছে জন্মের কাগজ চাই। সেটা কোথা থেকে দেব? দেহ দাহ করতে পারছি না। দেহ ফেলে রেখে দৌড়ে বেড়াচ্ছি। সকাল থেকে রাস্তায় দেহ পড়ে রয়েছে।"


আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড়ে ট্রলারডুবিতে মৃত্যু বাবার, ভিড়ের মধ্যে সঞ্জয় দাসের সন্তানদের দেখেই কোলে তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী


আরও পড়ুন, কেন আয়ুষ্মান ভারত-এর থেকে স্বাস্থ্যসাথী ভালো? চার্ট করে 'তুলনা' প্রচারে নামল তৃণমূল


এখন এই ঘটনা সামনে আসতেই প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভূমিকা। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কখনওই পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার কথা নয়। তাহলে এক্ষেত্রে পরিবার কীভাবে গৌরী মণ্ডলের দেহ পেল? উঠছে প্রশ্ন।