নিজস্ব প্রতিবেদন: বালিগঞ্জ পার্কে অভিজাত স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিবারে বিকৃত লালসার নজির। এক ভাইয়ের স্ত্রীকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে অন্য ভাইয়ের সঙ্গেও। বিভত্স, ভয়ানক অভিযোগ উঠেছে কলকাতার প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সেন পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছেন খোদ ওই পরিবারেরই ছোট ছেলের স্ত্রী। যদিও তাঁর বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ তুলছেন শ্বশুর। কী বলছেন তিনি?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগকারী বউমার বিরুদ্ধে শ্বশুরের পাল্টা অভিযোগ, বউমার চরিত্রেই সমস্যা রয়েছে। বেশিরভাগ রাতই বাড়ির বাইরে কাটান তিনি। অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে রাত কাটান। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি হত। সম্প্রতি অভিযুক্ত ছেলে সুরঞ্জন সেনের স্ত্রীকে অর্থাত্ নির্যাতিতাকে এক ঘরে রাখা হয়েছিল বলেও স্বীকার করে নেন শ্বশুর। তার সঙ্গে পরিবারের কোনও সদস্যই কথা বলতেন না।  সাত মাস আগে তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।  বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করা হবেও বলে মনস্থির করেছিল সেন পরিবার।  


আরও পড়ুন: বালিগঞ্জ পার্কে অভিজাত ব্যবসায়ী পরিবারে ভাসুরকে দিয়ে স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ’ স্বামীর!


তবে নির্যাতিতাকে কেন একঘরে করে দেওয়া হল, সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিসকে। নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। নির্যাতিতার স্বামী অভিযুক্ত সুরঞ্জন সেন ও ভাসুর নীলাঞ্জন সেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বালিগঞ্জ পার্কের  অভিজাত আবাসনের তিন তলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস।


আরও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে বান্ধবীর প্রেম, বিচ্ছেদ, আর্থিক অনটন-গড়ফায় ৩ জনের আত্মহত্যার চেষ্টায় নয়া তথ্য


প্রসহ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কড়েয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন শহরের প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিবারের গৃহবধূ। তাঁর অভিযোগে উঠে আসে , কীভাবে নিজের শ্বশুরবাড়িতে বিকৃত লালসা, যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ, পারিবারিক প্রথার নামে ওই পরিবারের   চলত ‘স্ত্রী অদল-বদল’ অর্থাত্ এক ভাইয়ের স্ত্রী ছিলেন অন্য ভাইয়েরও ‘ভোগ্য’। নির্যাতিতাকে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই চাপ দেওয়া হয়েছিলভাসুর নীলাঞ্জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় অত্যাচার শুরু হয়। অভিযোগ, পরে স্বামীর মদতেই নীলাঞ্জন ধর্ষণ করতে থাকেন তাঁকে। বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযুক্ত স্বামী সুরঞ্জন ও  নীলাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।