ওয়েব ডেস্ক: সোনাগাছি হত্যাকাণ্ডে খুনির নাগাল পেতে সূত্রের খোঁজে তদন্তকারীরা। তিন তলায় খুন হন কেয়ারটেকার কবিতা রায়। একতলা থেকে তিনতলায় পৌছতে, মেইন গেট সহ যে তিনটি দরজা পেরোতে হয় তার সবকটিরই তালা খোলা ছিল। কোনও তালাই ভাঙা ছিল না। এ থেকে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পরিচিত কাউকে দেখে গেট খুলে দেন কবিতাদেবী? সেই ব্যক্তিই ঘরে ঢুকে খুন করে তাঁকে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- জানুন নারী নির্যাতনে কোন স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ


পুলিসকে ভাবাচ্ছে, নারী পাচার চক্রের হাত থাকার সম্ভাবনাও। বিশেষ করে, দুটি কিশোরী গায়েব হয়ে যাওয়ায় এই প্রশ্ন এড়ানো যাচ্ছে না। উঠে আসছে আরও একটি তত্ত্ব। এই খুনে দুই কিশোরীরই হাত রয়েছে কিনা, এমন আশঙ্কা তুলে ধরেছে দুর্বার সংস্থাই। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম থেকেই চলে যাওয়ার জেদ ধরেছিল ওই দুই কিশোরী। কেয়ারটেকার কবিতা রায় তাদের বাধা দিতে গিয়ে খুন হলেন কিনা, তদন্তে এই দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিস।   


আরও পড়ুন- শব্দ দানবের প্রতিবাদ করে ফের হেনস্থার শিকার তরুণী


একটি খুন। প্রশ্ন অনেক। ক্রাইম সিন, সোনাগাছি। এখানেই NGO সংস্থা দুর্বারের অফিসেই খুন হয়ে গেলেন, কেয়ারটেকার কবিতা রায়। তিন তলার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে, মাথা থেঁতলে তাঁকে খুন করা হয়েছে। আজ সকালে দেহ উদ্ধার হয়। রহস্য আরও বেড়েছে, মৃতার হেফাজতে থাকা দুই কিশোরী উধাও হয়ে যাওয়ায়। বৌবাজার থেকে পরশু উদ্ধার হয় ওই দুই কিশোরী। আজ তাদের আদালতে পেশ করার কথা ছিল। তার আগে তাদের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়, নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই খুন হয়ে গেলেন মহিলা নিরাপত্তারক্ষী। এবং গায়েব ওই দুই কিশোরী। অফিস গতকাল বন্ধ থাকায়, তিন তলায় ওই দুই কিশোরীকে নিয়েই একাই ছিলেন কবিতা রায়। কে বা কারা এই খুনের পিছনে, সবচেয়ে ভাবাচ্ছে এই প্রশ্নই।