শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: 'আমি ও আদিবাসী সমাজ অপমানিত'। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। কেন? কুরুচিকর মন্তব্যে অভিযোগে, এসসি, এসটি অ্যাক্টে অভিযোগ দায়ের করা হল ঝাড়গ্রাম থানায়। 'কেস ছাড়া বিজেপিকে আটকাতে পারবে না', পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বঙ্গ রাজনীতিতে ফের কুকথা! এবার রেহাই পেলেন না স্বয়ং রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মূর্মুও। মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যে হাতিয়ার করে যখন পথে নেমেছে বিজেপি, তখন পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। দলের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োয় মন্ত্রী বীরবাহার হাঁসদার দাবি, 'লালগড়ে মাটিতে দাঁড়িয়ে নেতাই দিবসে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে আমাকে ও দেবনাথ হাঁসদাাকে আক্রমণ করেছিলেন, তখন কোনও প্রতিবাদে ঝড় ওঠেনি। কেউ পথেও নামেনি। আমরাও কিন্তু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। আমি একজন সাঁওতাল মহিলা'।  বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তিনি।


 



 



 



 


 


এর আগে, ডায়মন্ড হারবার প্রশাসনিক বৈঠক শেষে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বীরবাহা হাঁসদাকে কটুক্তির অভিযোগ সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ও কী ভাবে নিজেকে! আমি যাকে যা খুশি বলব, আর মানুষ সব দেখবে, শুনবে। আপনি বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে কী বলেছেন? জঙ্গলকন্যা বলতে পারেন, ২০২১-র বিধানসভা ভোটের পর যাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী করেছেন, জঙ্গলমহলের গর্ব, তাঁকে বলছে, জুতোর তলায় রাখি'! চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন, 'অখিল গিরি যে কথাটা বলেছে, দল তা কোনওভাবেই সমর্থন করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চেয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পারবে, শুভেন্দু অধিকারী যে কথাটা বলেছে, তাঁর জন্য সারা ভারতবর্ষের কাছে ক্ষমা চাইতে'।


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari:'বেশি ভালোবাসলে মধুমেহ হতে পরে', শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত সরাতে নির্দেশ আদালতের


এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআরের পর পুলিস ও প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মন্তব্য অনেকে অনেক কিছু করে। কিন্তু আমার দেখলাম, একজন মন্ত্রী রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে সম্মানজনক মন্তব্য করলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। আজকে একই ধরণের ঘটনা, কী বলেছেন, না বলেছেন।  তৃণমূল নেত্রী বলে পুলিস এফআইআর নিয়ে নিল'! তৃণমূল শান্তনু সেনের পাল্টা প্রশ্ন, 'অখিল গিরি একটা মন্তব্যের জন্য অখিল গিরি-সহ দলের সবনেতা, এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার মহিলাদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। কোনওদিন দেখেছেন, তাঁরা ক্ষমা চাইছেন'?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)