Tollygunj Fire: স্টুডিওপাড়ায় প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, নিয়ন্ত্রনে দমকলের ১৮ ইঞ্জিন
জানা গিয়েছে গোডাউনের পাঁচ থেকে সাতটি পকেটে এখনও আগুন জ্বলছে। যার মধ্যে দুটি পকেটে বশি আগুন রয়েছে। দমকলকর্মীরা পুলিস এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা ফাঁকা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌছান এলাকার বিধায়ক এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
অয়ন ঘোষাল: ফের আগুন মহানগরে। এবার আগুনের গ্রাসে কুঁদঘাটের একটি গোডাউন। কুঁদঘাটের ২৬ নম্বর বাবুরাম ঘোষ রোডে একটি প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে এই আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। শুরুতে ১৫টি ইঞ্জিন কাজ শুরু ওরে। পড়ে তা বাড়িয়ে ১৮ করা হয়। জানা গিয়েছে ভোর ৫.৩০ মিনিটে লাগে আগুন। সেই আগুন এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে সেই গোডাউনে প্রায় ১৭টি এসি মেশিন ছিল। মনে করা হচ্ছে নতুন অথবা পুরনো কোনও একটি এসি মেশিন যা সারারাত চলছিলে সেখানে শর্ট সার্কিট হয়ে এই আগুন লাগে। এরপরে গোডাউনের বহু দাহ্য থেকে অতিদাহ্য বস্তুতে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখানে আগুনের শিখা বাইপাস রাস্তা থেকেও দেখা যায় একসময়।
দমকলকর্মীরা পুলিস এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা ফাঁকা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। এলাকায় রাস্তা সরু হয়ায়দমকলের সব গাড়ি ভিতরে পৌছাতে পারেনি বলেও জানা যায়। সেই কারণে চেন ব্যবস্থায় কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। শুরুতে ৮টি ইঞ্জিন কাজ করতে শুরু করে এবং তারপরে আরও ইঞ্জিন সেখানে নিয়ে এসে লুপে কাজ করা শুরু হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌছান এলাকার বিধায়ক এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। তাঁকে সামনে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগ্রে দেন। তাদের দাবি দেরিতে পৌঁছেছে দমকল। মন্ত্রী জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের সত্যতা পড়ে খতিয়ে দেখা হবে। আগে আগুন নেভানোর কাজ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Tajpur Port: বিজয়ী সম্মিলনীতে বিনিয়োগ! তাজপুরে আদানি গোষ্ঠীকে বন্দর তৈরির অনুমতি রাজ্যের
জানা গিয়েছে গোডাউনের পাঁচ থেকে সাতটি পকেটে এখনও আগুন জ্বলছে। যার মধ্যে দুটি পকেটে বশি আগুন রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগুনের উপর নিয়ন্ত্রন আনা গিয়েছে। যদিও আগুন সম্পুর্ণ নিয়ত্রণে আনতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই গোডাউনের বিভিন্ন দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। একটি অংশ ভেঙে পড়েছে এবং অন্য অংশ ভেঙে পরার সম্ভাবনা থাকায় সেখান থেকে এলাকাবাসীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দমকলের তরফ থেকে সরকারি বক্তব্য জানা যায়নি এবং ফরেন্সিক তদন্ত না হওয়ায় কী কারণে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে এবং বহু দাহ্য পদার্থ থাকায় তা খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে।