নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরভোটে মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ফিরহাদ হাকিমই কি ফের মেয়র হবেন? পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ফলপ্রকাশের পর জনপ্রতিনিধিরা দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। কী বলছেন ফিরহাদ? তাঁর জবাব,''আমি দলের অনুগত সৈনিক।''      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নতুন দল গঠনের পর ২০০০ সালেই কলকাতা পুরসভা দখল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মেয়র মুখ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২০০৫ সালে সুব্রত তৃণমূলে ছিলেন না। সেবার হারে ঘাসফুল। ২০১০ সালে শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র হন। ২০১৫ সালেও তার ব্যত্যয় হয়নি। তিনিই ছিলেন কলকাতায় তৃণমূলের মুখ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে শোভন মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ফিরহাদ বসেন ওই চেয়ারে। কাউন্সিলর না হয়েও মেয়র হন। সেজন্য অবশ্য আইনও বদল করা হয়। ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসার বিধি যুক্ত করে সরকার। মেয়র থাকতে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হন ফিরহাদ। এবারও সেখানেই তিনি প্রার্থী। তবে মেয়র পদপ্রার্থী তাঁকে করেনি দল? 


ফিরহাদের কথায়,''দল যে দায়িত্ব দেবে তা-ই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আমি দলের অনুগত সৈনিক। নেত্রীই জীবনের আদর্শ।'' প্রার্থী তালিকা নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে কালীঘাটে। সে প্রসঙ্গে তিনি জানান,''প্রত্যেকের মতামতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই মত দিয়েছে। মমতা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।''


কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে ফিরহাদই প্রত্যাবর্তন করেন কি না তা বোঝা যাবে ফলপ্রকাশের পরেই। হতে পারে 'এক ব্যক্তি এক পদ' এক্ষেত্রেও খাটল না। তৃণমূল অন্দরের খবর, করোনা পরিস্থিতি যেভাবে কলকাতায় সামাল দেওয়া গিয়েছে তাতে অভিজ্ঞদের উপরেই আস্থা রাখছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই ভরসা প্রতিফলিত হয়েছে ৬ বিধায়কের পুরভোটে লড়াইয়ের ঘোষণায়। 


আরও পড়ুন- পুরভোটে যেন গন্ডগোল নয় হয়, বেচালে ব্যবস্থা নেবে পুলিস, দলকে কড়া বার্তা Mamata-র


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)