অর্ণবাংশু নিয়োগী: অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় আদালতের দ্বারস্থ ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়। এই মামলায় ইডিকে পার্টি করার যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। গত কয়েক বছরে শাসকদলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মর্মে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের শীর্ষ আদালত। যার পরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের শাসকদল। সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের বক্তব্য জানান ১৯ জনের তালিকায় নাম থাকা শাসকদলের ছ'জন নেতা-মন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে ভোটের সময় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা সম্পত্তির যে খতিয়ান দিয়েছিল, ২০১৬ সালে দেখা যায় তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সেই হলফনামাকে হাতিয়ার করেই, তারপর তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান খতিয়ে দেখতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। কে কে আছেন এই ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর তালিকায়? যাঁদের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বর্তমানে অনেক মন্ত্রী রয়েছেন। আবার কেউ কেউ এখন প্রাক্তন মন্ত্রী। তালিকায় আছেন ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, গৌতম দেব, অরূপ রায় ও শিউলি সাহা। এই ১৯ জনের তালিকায় নাম আছে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও। এমনকি নাম আছে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়েরও। সেইসঙ্গে অর্জুন সিং, ইকবাল আহমেদ, স্বর্ণকমল সাহা, জাভেদ আহমেদ খান, অমিতকুমার মিত্ররও নাম রয়েছে। পাশাপাশি, আব্দুর রজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও সবস্যাচী দত্তের সম্পত্তিও এবার আসতে পারে ইডির আতস কাচের তলায়। এমনকি এই তালিকায় নাম আছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়েরও। সেইসঙ্গে এই তালিকায় নাম ছিল সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ও সাধন পান্ডেরও। তবে দুজনেই প্রয়াত।


এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যে ছয় মন্ত্রী। হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফিরদাহ হাকিম, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়, মলয় ঘটক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শিউলি সাহা। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "পার্থ যা করেছে আমি লজ্জিত। এই পার্থকে আমরা চিনি না...কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা সবাই চোর...ক্রমাগত আমাদের অপমান করা হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের নাকি সম্পত্তি বেড়েছে...আয়কর দফতর ক্রুটিনি করতে পারত...আসলে এটা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নয়, বরং পলিটিক্য়াল ইন্টারেস্ট লিটিগেশন...রোজগার করা তো অন্য়ায় নয়। সম্পত্তি নিয়ে কোনও তথ্য লুকোইনি। সুযোগ পেলেই অপমান করা হচ্ছে।" একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশে যে যে সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতাদের নাম রয়েছে, সেই নামগুলোও পড়ে শোনান মন্ত্রীরা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)