`পাড়ায় যারা ময়লা ফেলে তারা গণশত্রু; চিহ্নিত করুন`, ডেঙ্গি রোধে কড়া বার্তা মেয়রের
কলকাতা -সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এমনটাই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যনে। এমন পরিস্থিতিতে কড়া বার্তা ফিরহাদের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'যারা পাড়ায় ময়লা ফেলে তারা গণশত্রু। এদের চিহ্নিত করুন। তাদের প্রকাশ্যে আনুন'। ডেঙ্গি মোকাবিলায় পথে নেমে এমনই বার্তা দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা -সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এমনটাই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যনে। ডেঙ্গিতে রাজ্যে এইপর্যন্ত ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এমনই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি রোধে মরিয়া রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, SSC: 'তাহলে ভেঙে দেওয়া হোক,' স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ে বিস্ফোরক বিচারপতি
এমনকী মডেল ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে পথে পথে ঘুরে সচেতনতা বার্তা দেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, 'ডাব বিক্রেতাদের জন্য একটা গাইড লাইন ইস্যু করব। যাতে গোটা খোলার বদলে খোলা হাফ করে কেটে রাস্তায় ফেলে।' তার বক্তব্য, মানুষকে খেয়াল রাখতে হবে কোথাও যেন ডেঙ্গির মশা ডিম না পারতে পারে। ডেঙ্গির মশার লার্ভা নষ্ট করতে হবে। মানুষ সচেতন থাকলে তবেই ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়া সম্ভব। মানুষকে সচেতন করতেই এই সচেতনতা কর্মসূচি নেওযা হয়েছে।
হু বারণ করেছে বলে মশা মারার ধোঁয়া দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি ফিরহাদের। সম্প্রতি নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছিল, যে সব জেলায় পরিস্থিতি বেশি খারাপ, উদ্বেগজনক, সেখানে অফিসারদের টিম পাঠাবে নবান্ন। রাজ্যের ৬টি জেলায় মূলত ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কলকাতা ছাড়াও যে তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও জলপাইগুড়ি। এই ছয় জেলাতেই বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবে নবান্ন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তুলনায় কলকাতায় পজিটিভি রেট দ্বিগুণ। তারমধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণের ৮৫ শতাংশ। ইতিমধ্যেই, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর অনুরোধ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন, নজরে উত্তর-পূর্ব, বৃহস্পতিবার মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়