জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: পুর নিয়োগ মামলায় বাড়িতে সিবিআই। ৯ ঘণ্টার ধরে চলল তল্লাশি। কেন? রীতিমতো ক্ষুদ্ধ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর প্রশ্ন, 'আমি কি চোর? আমি কি চুরি করেছি? বারবার এই হেনস্থা কেন? বিজেপির মতাদর্শের কাছে মাথা নত করব না। ওদের খাতায় গিয়ে নাম লেখাব না, সেজন্য আমার উপর, আমার পরিবারকে হেনস্থা'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  CBI Raid in Madan House: 'কেউ যদি এক ইঞ্চি দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারে তাহলে......', সিবিআই সামলে স্বমেজাজেই মদন


শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় এক যোগে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। সেই তালিকায় জুড়ে গিয়েছে পুর নিয়োগে দুর্নীতিও!  কীভাবে? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি এখন ইডি-র হেফাজতে অয়ন শীল। তাঁর বাড়ি থেকে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া সেইসব নথিতে কাঁচড়াপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, টিটাগড়, বরানগর, কামারহাটি, হালিশহর, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদমের মত একাধিক পুরসভার নাম রয়েছে। 


এদিন পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা একযোগে ১২ জায়গায় হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাদ যায়নি চেতলায় খোদ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িও। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।



সিবিআই আধিকারিকরা তখন চলে গিয়েছেন। স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'কখনও গ্রেফতার করে নিয়ে চলে যাচ্ছে, কখনও সারাদিনে ধরে আমার বাড়িতে তল্লাশি হচ্ছে। আজকে আমার ভাইয়ে শ্রাদ্ধ, সেখানে যেতে দেওয়া হল না। কী অপরাধ করেছি? নিজে কোনওরকমে ছোট-বড় ব্য়বসা করে, সমাজসেবা  করেছি, এটাই আমার অপরাধ! মানুষের পাশে যার যেমন দরকার হয়েছি, দাঁড়িয়েছি, সেটা আমরা অপরাধ। কেন বারবার করে হেনস্থা'?


ফিরহাদের প্রশ্ন, 'আইন অনুযায়ী পুরমন্ত্রীর পুরনিয়োগের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে? পুরনিয়োগের কোনও ফাইল পুরমন্ত্রীর কাছে আসে? দুর দুর থেকে পুরনিয়োগের কোনও বিষয় পুরমন্ত্রীর কাছে হয়? না আইনে হয়, না পদ্ধতি অনুযায়ী হয়। তাও কিসের জন্য এটা? বারবার করে প্রমাণ করা যায়, নিয়োগ দুর্নীতি। যারা চাকরি দিয়ে টাকা নেয়, আমরা মনে হয় তারা সবচেয়ে বেশি কীট। কোনও ব্য়ক্তিকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা বা চাকরি দিয়ে টাকা নেওয়া, তার থেকে নিজের মায়ের মাংস খাওয়া ভালো'।


আরও পড়ুন:  Cyber Crime: জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির সেমিনারেও 'অনলাইনে প্রতারণা'....


পুরমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'আমি বামফ্রন্ট আমলে লড়াই করেছি।  কেস খেয়েছি। দাঙ্গার কেস, মারপিটে কেস, বাঁধা দেওয়ার কেস। এই অপমান হয়নি! বাড়ির লোক জড়িয়ে পড়েনি। নিশ্চিতভাবে মার খেয়ে হাসপাতালে থেকেছি, বাড়িতে সেবা করেছে। কিন্তু কোনওদিন এই অন্যায় করেনি'। তাঁর দাবি,  'কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে জীবনে কোনওদিন যুক্ত থাকেনি। ২৫ বছর চেতলার কাউন্সিলর, একটি লোক বলে দেব যে, ববি হাকিমকে পয়সা দিয়েছে, আমি ইস্তফা দিয়ে চলে যাব। কেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা জিজ্ঞাসা করবেন না, কী পেলেন'?


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)