`ওরা লাস্ট বয় তাই এত কমপ্লেইন, আমরা ভাল ছাত্র...`, মুকুলকে জবাব ফিরহাদের
বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে, ৩০ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলে ২৪ এপ্রিলের আগে কোনওভাবেই ভোট সম্ভব নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "পুরভোটে যারা পিছিয়ে থাকে, পাস করতে পারে না, তারাই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। আমরা ভাল ছাত্র। সারা বছর পড়ি। তাই ভয় পাই না। ওরা লাস্ট বয় তাই এত কমপ্লেইন।" পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বিজেপিরক দরবারকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি আরও বলেন, "ব্যালটে ভোট হবে, না ইভিএমে, সেটা কমিশন ঠিক করবে। নেত্রীর যা মত আমাদেরও তাই মত। বিজেপি কীভাবে জানল ভোট কবে? আমি মন্ত্রী হয়েও জানতে পারলাম না।"
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে পুরভোট করাতে চাইছে রাজ্য় সরকার। ১২ এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় ভোটগ্রহণের সম্ভাবনা। কিন্তু ওই সময় ভোট হলে প্রচারের সুযোগ পাওয়া যাবে না বলে এদিন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপির নেতা মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার ও শিশির বাজোরিয়া। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মুকুল রায়রা দুটি বিষয় তুলে ধরেন।
বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, হাইকোর্টের নিয়ম মেনে ৩০ মার্চের পর মাইকে প্রচার করা যাবে। কারণ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ৩০ মার্চ। এখন ১২ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হলে তহালে প্রচারের জন্য মাত্র ১০ দিন সময় থাকছে। কারণ ওদিকে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। এত কম সময়ে প্রচার ঠিকমতো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন, 'শিউরে উঠতে হয়!' ডাক্তারকে চড় মারার ঘটনায় দোষীর শাস্তির দাবি নির্মল মাজির
আরও পড়ুন, পুলিসের সামনেই ডাক্তারকে সপাটে চড়, প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার একবালপুরে
তাই বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে, ৩০ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলে ২৪ দিন সময় দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই ১২ এপ্রিল ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। ২৪ এপ্রিলের আগে কোনওভাবেই ভোট সম্ভব নয়। পাশাপাশি, মুকুল রায় এদিন আরও কচটাক্ষ করেন, রাজ্য় সরকার ব্য়ালটে ভোটের ভাবনাচিন্তা করছে। সারা দেশ যেখানে এগোচ্ছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের এই মন্তব্যের পরই পাল্টা জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম।