নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘পর্যান্ত পরিমাণে টিকা মিলছে না’। ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তাঁর অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় ৫০ শতাংশ টিকা পাচ্ছে কলকাতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার টিকা নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকা বণ্টন নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন তিনি। এবার কার্যত সেই একই সুর শোনা গেল কলকাতা কর্পোরেশেনর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের গলাতে। কেন এখনও শহরে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হয়নি? উত্তরে টিকার অপ্রতিলতাকে দায়ী করেছেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতার প্রয়োজনের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম টিকা পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি ভাবে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণের নির্দেশ রয়েছে। তবে টিকার অপ্রতুলতার কারণে ৪৫ ঊর্ধ্বদের দেওয়ার পরই টিকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’


আরও পড়ুন: হঠাৎ প্রাক্তন, ক্ষণিকে বর্তমান- যুব মোর্চার সভাপতি পদ নিয়ে ফের ডিগবাজি Saumitra-র


স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যে আসা মোট করোনা টিকার ১৮ থেকে ২০ শতাংশ কলকাতার জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে। ৭ জুলাই পর্যন্ত ২৬ লক্ষের কিছু বেশি ডোজ কলকাতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। তবে, কলকাতায় কেবলমাত্র শহরের বাসিন্দারাই টিকা নিচ্ছেন না, পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং জেলা থেকেও মানুষ টিকা নিতে কলকাতায় আসছেন।


আরও পড়ুন: রাজ্যের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নয়া সংঘাত, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ


তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৯ লক্ষ্য মানুষ প্রথম ডোজ এবং প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ্য মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫ হাজার টিকা শহরে আসছে। ১৯৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে বন্টন করা হচ্ছে। কর্পোরেশনের নির্দেশ রয়েছে, টিকার অর্ধেক দেওয়া হবে প্রথম ডোজ গ্রহিতাদের। বাকি অর্ধেক দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহিতাদের। কোথাও কোথাও চাহিদার ভিত্তিতে সেই পরিমাণ বাড়ছে বা কমছে। কলকাতায় যা পরিকাঠামো রয়েছে তাতে দৈনিক ৭০ হাজার টিকাকরণ সম্ভব।