ব্যুরো: জমা জলে সাঁতার,খেলাধূলো। দিনভর এটাই ছিল কলকাতা স্টেশনের ছবি। টানা বৃষ্টির জলে হাবুডুবু টিকিয়াপাড়া কারশেড।ব্যাহত হাওড়ার ট্রেন চলাচল। টানা বৃষ্টিতে বাতিল শিয়ালদার ৫৪টি  ট্রেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেখলে মনে হতেই পারে বন্যা প্লাবিত এলাকা। যতদূর চোখ যাচ্ছে শুধুই জল। এটাই কলকাতা স্টেশনের ছবি।


রাতভর বৃষ্টিতে বেহাল দশা। ছটি ট্রাকই হাঁটু জলের তলায়। পুরোপুরি বন্ধ ট্রেন চলাচল। ১২পাম্প দিয়ে অনবরত লড়াইয়ের পরও হাল ফেরাতে পারেননি রেলকর্মীরা।


বাতিল হয়েছে হাজারদুয়ারি ও হলদিবাড়ি সুপারফার্স্ট এক্সপ্রেস। বেশিরভাগ ট্রেন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিয়ালদহ স্টেশনে। নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিনঘণ্টা পর দুটি ইঞ্জিন  দিয়ে কোনওরকমে কলকাতা রওনা করিয়ে দেওয়া হয় মৈত্রী এক্সপ্রেসকে। চরমে ওঠে  যাত্রী ভোগান্তি। ১০ ইঞ্চি জল জমেছে।


জল থৈথৈ হাওড়া স্টেশন। যাত্রী ভোগান্তির একই ছবি ছিল হাওড়া স্টেশনেও। টানা বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ টিকিয়াপাড়া কারশেড। দিনভর ব্যাহত হয়েছে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব শাখার ট্রেন চলাচল। দূরপাল্লার কোনও ট্রেন বাতিল না হলেও,চলেছে অস্বাভাবিক দেরিতে।  সময় পরিবর্তন করা হয় গীতাজ্ঞলি ও ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেসের। জল জমেছে হাওড়া সাবওয়েতেও।


জলে বিপর্যস্ত। শিয়ালদহ স্টেশন। বৃষ্টিতে ব্যাহত শিয়ালদার ট্রেন চলাচলও। কারশেডে জল জমে যাওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। তারপরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। সাড়ে সাতশোর মধ্যে ৫৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়। সোনারপুর, চাকজা, বারাকপুর, বারুইপুর সহ একাধিক স্টেশনে সিগনালিংয়ের সমস্যায় দিনভর লোকাল ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। যাত্রী ভোগান্তি চরমে ওঠে।