প্রশ্নের মুখে শহরের আরেকটি ফ্লাই ওভার নির্মাণের কাজ
ওয়েব ডেস্ক: প্রশ্নের মুখে শহরের আরেকটি ফ্লাই ওভার নির্মাণের কাজ। গার্ডেন রিচ থেকে শুরু হয়ে হাইড রোড হয়ে মাঝের হাট ব্রিজ পর্যন্ত প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয় দুহাজার চোদ্দ সালের জুন মাসে। কাজ শেষ হওয়ার কথা দুহাজার ষোলোর ডিসেম্বরে। তবে জমি নিয়ে পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে সংঘাতের জেরে মাঝপথে থমকে কাজ। মাঝেরহাট ব্রিজ থেকে গার্ডেনরিচের ব্রুকলিন বাস স্টপ। ডায়মন্ড হারবার রোড- কার্ল মার্কস সরণি হয়ে গোটা রাস্তাতেই যান জট নিত্য সঙ্গী। বন্দর এলাকার এই রাস্তা গুলি সারা দিনই প্রায় পোর্টের কন্টেনারের দখলে থাকে।
তার ওপর কার্ল মার্কস সরণির ওপর বন্দরের ব্রিজ খুলে গেলে আরও বাড়ে ট্রাফিক জ্যাম। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে আটকে থাকা এখানকার রোজ নামচা। এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সে আটকে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর। এই যানজট থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতেই নতুন একটি ফ্লাই ওভারের পরিকল্পনা করে KMDA। হাইডরোড হয়ে মাঝেরহাট পৌছবে উড়ালপুলটি। একটি RAMP থাকবে রিমাউন্ট রোডে।
কেমন হবে উড়াল পুল? উড়ালপুলের দৈর্ঘ্য চার দশমিক দুই কিমি। ১৭ দশমিক দুই মিটার চওড়া উড়ালপুলে থাকবে চারটি লেন। একশ পঁচাত্তরটি থামের উপর থাকবে উড়ালপুলটি। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ তিনশ পঞ্চাশ কোটি টাকা। বরাদ্দের তিরিশ শতাংশ আসবে JNNURM প্রকল্প থেকে। বাকি সত্তর শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য সরকার। পুরো উড়ালপুলটি হবে পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জমি বাবদ একত্রিশ কোটি টাকা দাবি করে KMDA-র থেকে। সেই টাকা KMDA ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে। সমস্যার সূত্রপাত দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মিটানো নিয়ে।
পোর্ট ট্রাস্ট যেখানে নয় একর জমির দাম চাইছে, সেখানে দশমিক চার একর জমির দাম দিতে রাজি রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি, উড়াল পুল তৈরিতে রাস্তা ব্যবহার করা হবে না। উড়ালপুল হবে রাস্তার ওপর দিয়ে। পুরো রাস্তার জন্য নয়, পিলার পিছু টাকা দিতে রাজি রাজ্য সরকার। বন্দর কর্তৃপক্ষের পাল্টা যুক্তি, দুহাজার চোদ্দ সালের পোর্ট ট্রাস্ট ল্যান্ড লিজ আইন অনুসারে তাঁদের পক্ষে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা না পেলে কাজ করতে দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া তারা টাকা ছাড় দিতে পারবেন না। আর এই জটেই এখন আটকে উড়াল পুলের ভবিষ্যত।