কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 ২১শে-র মঞ্চে দেখা গিয়েছে ৬২ বছর বয়সী প্রবীণ সাংবাদিক তথা ‘প্রাক্তন’ বিজেপি নেতা চন্দন মিত্র-কে। লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘ঘর বদল’ করলেন তিনি। হঠাত্ এমন সিদ্ধান্ত কেন তাঁর? প্রশ্ন করতেই একরাশ অভিমান বেরিয়ে এল রাজ্যসভায় বিজেপির দু’বারের সাংসদ চন্দন মিত্রের মুখ থেকে।  নোটবন্দি এবং জিএসটি মোদী সরকারের এই দুই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করলেন চন্দনবাবু।


আরও পড়ুন- ১৯-এর ব্রিগেড থেকেই হবে দিল্লি দখল : মমতা


চন্দন মিত্র বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর নোটবন্দি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আম-জনতা। জিএসটি-তেও তিতিবিরক্ত মানুষ।” সদ্য প্রাক্তন হওয়া এই বিজেপি নেতার কথায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিজেপির অন্দরেই। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের  নিরঙ্কুশ ক্ষমতার সমালোচনা করে গত সপ্তাহে দলের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন চন্দনবাবু। সেই চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি বিজেপির কার্যকলাপে খুশি নন তিনি। এ দিনও ২৪ ঘন্টা ডট কম-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে চন্দন মিত্র বলেন, মোদীজি যে জনপ্রিয়তা নিয়ে এসে ছিল তা ধরে রাখতে পারেনি। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে ধর্মন্ধতা আরও বেশি  বেড়েছে। সামাজিক কাঠামো ভেঙে দিতে চাইছে তারা। এটা দুঃখের বিষয়। চন্দনবাবুর আরও বক্তব্য, আডবাণী এবং অটলবিহারি বাজপেয়ীর আমলে এমন অধঃপতন দেখা যায়নি। নরেন্দ্র মোদীর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ভারতের ঐক্য নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। যারা এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছে না মোদী সরকার।


আরও পড়ুন- ১৯-এর পাল্টা ২৩-এ বিজেপির ব্রিগেড, প্রধান বক্তা মোদী


‘নতুন ঘর’ পেয়ে যেন খুশি চন্দন মিত্র। এখানে এসে নিজেকে ‘মুক্ত’ বলে মনে হচ্ছে দাবি করেন এই প্রবীণ সাংবাদিক। তিনি বলেন, “বাংলার জন্য কিছু করতে চাই। এই স্বপ্ন পূরণ করতে তৃণমূলই আদর্শ অস্ত্র।” এ বারের লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যে ধরাশায়ী হবে কার্যত নিশ্চিত তিনি। চন্দনবাবু বলেন, “আগের বার ৩৪টি আসন পেয়েছিল। এবার ৪২ টাই তৃণমূলের হবে।”


আরও পড়ুন- ১৪ দিনের লড়াই সার্থক! দাবি মানায় অনশন প্রত্যাহার পড়ুয়াদের


উল্লেখ্য, এবারের ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে লোকসভা নির্বাচনের বাদ্যি বাজিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মঞ্চ থেকেই এ দিন ফেডেরাল ফ্রন্টের ডাকও দেন তিনি। নরেন্দ্র মোদীর বিজয় রথ রোখার জন্য আগামী ব্রিগেডেই চূড়ান্ত খসড়া বানিয়ে ফেলার আভাস দেন মমতা। সেখানে দলে চন্দন মিত্রকে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।