নিজস্ব প্রতিবেদন:  জাগুয়ারকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন আরসালান পারভেজ। জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁর মামা মহম্মদ হামজাকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



তবে আরসালানকে পুলিসের কাছে জমা রাখতে হবে তাঁর পাসপোর্ট। আইও-র কাছে সপ্তাহে একবার করে হাজিরাও দিতে হবে তাঁকে।


এবার পারভেজ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করতে চলেছে পুলিস। তদন্তে অসহযোগিতা, পুলিসকে ভুল পথে চালিত করা, মূল অভিযুক্তকে আশ্রয় দিয়ে, তাকে আড়াল করা ও পালাতে সাহায্য করা এমনকি মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে আনতে চলেছে পুলিস।


দিলীপ ঘোষের ওপর হতে পারে প্রাণঘাতী হামলা! গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়েই বাসভবন বদল করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক


ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত রাগিবকে জাগুয়ারকাণ্ডে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাশাপাশি  তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামা মোহম্মদ হামজাকেও গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের জেরা করে অন্য সদস্যদের নামও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারিরা।  


প্রসঙ্গত, গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ২০ইঞ্চির ভাঙা কাঁচই কিনারা করল সেক্সপিয়ার সরনি থানার জাগুয়ার কাণ্ডের রহস্য। 


গাড়ির EDR বা ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার ও ইনফোটেইনমেন্ট টেলিমেটিক্স-এর মাধ্যমে যে ফোন রেকর্ড পান তদন্তকারীরা সেখান থেকে আর্সালানের দাদা রাগিব পারভেজের কথা প্রথম জানা যায়। এছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ,  যেহেতু চালক সিট্ বেল্ট বাঁধেননি তাই দুর্ঘটনার অভিঘাতে চালকের মাথা সজোরে ধাক্কা খায় উইন্ডস্ক্রিনের ভেতরের দিকে অংশে। সেখানে কিছুটা রক্তের দাগও মিলেছিল।


আর তা থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, চালকের কপালে বা মাথার সামনের অংশে সিলিকন বাইট বা আঘাত থাকবে। অথচ আর্সালানের তেমন কোনও জখম দেখতে পাননি তদন্তকারীরা।  রাগিবের ক্ষেত্রে সেই সিলিকন বাইট-এর  জখম পেয়েছেন। অন্যদিকে, আর্সালান পারভেজ মত্ত বা নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা, বার বার পরীক্ষা করেও তার সদুত্তর পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা।


বুধবার জাগুয়ার দুর্ঘটনার নয়া মোড় সামনে আসে। জানা যায়, আর্সালান নয়, গাড়ি চালাচ্ছিলেন দাদা রাগিব। বেনিয়াপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার পর দুবাই পালিয়েছিলেন অভিযুক্ত।