নিজস্ব প্রতিবেদন : গাফিলতিতেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড গড়িয়াহাটে। আগুনের উৎস গুরুদাস ম্যানসন। ফরেন্সিক রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টে বলা হয়েছে,  ফুটপাথের সিইএসসি-র ফিডার বক্স ওভারলোড হয়ে গিয়েছিল। সেই অতিরিক্ত বিদ্যুত থেকেই আগুন লাগে গুরুদাস ম্যানসন বিল্ডিংয়ের মিটার বক্সে। ফিডার বক্সের অতিরিক্ত বিদ্যুত চলে যায় মিটার বক্সে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বহন ক্ষমতার বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছিল। তাই ওভারলোড হয়ে যায় ফিডার বক্স। তারপর বিল্ডিংয়ের যে অংশ পুড়ে গিয়েছে, তাতে কোনও এমসিবি ছিল না। ফরেন্সিক রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে গাফিলতির। স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, বিল্ডিংয়ের বৈদ্যুতিক সুরক্ষার কোনওরকম নজরদারি ছিল না। নজরদারিতে গাফিলতি ছিল যথেষ্ট। আর তার জেরেই এই বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়। বিল্ডিংয়ের মেইন সুইচ, গলে যাওয়া তার, এইসব নমুনা পরীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল।


আরও পড়ুন, বন্ধুর সঙ্গে 'পরকীয়া' স্ত্রীর? সন্দেহেই বেহালায় মদের আসরে খুন যুবক


শনিবার গভীর রাতে আগুন লাগে গড়িয়াহাট মোড়ে অবস্থিত বহুতলে। আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। প্রায় ১০ ঘণ্টার লড়াইয়ে কাবু হয় আগুন। বহুতলটিতে একটি জনপ্রিয় পোশাকের বিপণি প্রতিষ্ঠান সহ বেশকিছু দোকান, রেস্তরাঁ ও আবাসিক ফ্ল্যাট ছিল। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বহুতলের নীচের তলায় থাকা একটি শাড়ির দোকান সহ অসংখ্য ফ্ল্যাট।


শনিবার রাত ১টা নাগাদ আগুন লাগে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আবাসিকদের মধ্যে। চিত্‍কার চেঁচামেচি শুনে যে যে অবস্থায় ছিলেন, প্রাণ হাতে নিয়ে কোনও মতে নীচে নেমে আসেন তাঁরা। মই দিয়ে নামিয়ে আনা হয় বয়স্কদের। হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয় বহুতলটির ৪ তলায়।


আরও পড়ুন, চাদর জড়াতেই আস্ত মানুষটাকে টেনে নিল মেশিন, মৃত্যু প্রৌঢ়ের


আগুন দেখেই পুলিস এবং দমকলে ফোন করেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে একে একে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। আনা হয় স্কাইম্যান ল্যাডার। রাতভর চলে আগুনের সঙ্গে লড়াই। সকালে গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার থেকেও জল স্প্রে করা হয়। আনা হয় অত্যাধুনিক থার্মাল ক্যামেরা। শেষপর্যন্ত দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন ও একটা স্কাইম্যান ল্যাডারের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।